গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট-এ অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। এ বার এই বিষয়ে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ)-কে নোটিস দিয়ে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। নিট বাতিল করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তেমনই একটি মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি আমানুল্লা এনটিএ-র আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। তাই আমরা উত্তর চাই।” একই সঙ্গে বিচারপতি আদালতে উপস্থিত এনটিএ-র কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, জবাব দিতে কত দিন সময় লাগবে তাঁদের। তবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীর আইনজীবী, আদালতে কাউন্সেলিং বন্ধ করার আর্জি জানান। দুই বিচারপতির বেঞ্চ মৌখিক ভাবে জানায়, আপাতত অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে জবাব চাওয়া হচ্ছে। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।
নিট-এ প্রশ্নফাঁস এবং ঢালাও নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একসঙ্গে ৬৭ জনের প্রথম স্থান পাওয়া ওই ঢালাও নম্বর দানের ফল বলেই মনে করছেন অনেকে। এমতাবস্থায় গত শনিবার নিট কর্তৃপক্ষ কার্যত সব অভিযোগই অস্বীকার করেন। জোর দিয়ে জানান, পরীক্ষায় তেমন কোনও অনিয়ম হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সরব হয় বিরোধী দলগুলিও।
চলতি বছরের ৫ মে হয়েছিল নিট। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ১৭ মে পরীক্ষার ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত তেমন কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়ের বেঞ্চ নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করে। আগামী ৮ জুলাই মামলাটির শুনানি। ওই দিনই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানানো সংক্রান্ত মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। ওই সময়ের মধ্যেই নোটিসের জবাব দিতে হবে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy