—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সেনার তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ু) পরে এ বার উপকূলরক্ষী বাহিনীতেও মহিলাদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ওই আধা সামরিক বাহিনীতেও লিঙ্গসমতা রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ করা উচিত বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর স্বল্পমেয়াদি (শর্ট সার্ভিস) কমিশনের এক মহিলার অফিসার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে স্থায়ী (পার্মানেন্ট) কমিশন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদন মেনে তাঁকে স্থায়ী কমিশনে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যবেক্ষণে সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন দেওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
ওই মামলার শুনানিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আইনজীবী হিসাবে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি। তিনি উপকূলরক্ষী বাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশনে নিয়োগের বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে বলেছেন ‘উপকূলরক্ষী বাহিনীর ‘কাজের ধরন’ স্থলসেনা ও নৌসেনার থেকে আলাদা।’’ ভারতের দীর্ঘ উপকূল অঞ্চলে নজরদারি, অনুপ্রবেশ রোধ এবং চোরাচালান বিরোধী কাজে নিযুক্ত এই বাহিনীর অফিসারদের দীর্ঘ সময় সমুদ্র জলযানে থাকতে হয় বলে জানান তিনি।
জবাবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এই যুক্তিগুলি মহিলাদের বাদ দেওয়ার জন্য বৈধ অজুহাত নয়। এই সমস্ত কার্যকারিতা ইত্যাদি যুক্তির ২০২৪ সালে কোনও সারবত্তা নেই। মহিলাদের বাদ দেওয়া যাবে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় যে সমস্ত মহিলা ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে শামিল করতে হবে কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালতের তৎকালীন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছিলেন সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy