সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ক একটি মামলায় বৃহস্পতিবার রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট। — প্রতীকী চিত্র।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়ার মাঝখানে যোগ্যতার মাপকাঠি বদলানো যায় না। বৃহস্পতিবার এক মামলায় এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই মামলার রায় দান স্থগিত ছিল। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুনানি পর্ব শেষে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রায় দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজস্থানে সরকারি চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজস্থান হাই কোর্টে অনুবাদকের ১৩টি শূন্যপদের জন্য নিয়োগ চলছিল। প্রথমে লেখা পরীক্ষা, তার পরে ইন্টারভিউ। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন জন পাশ করেছিলেন। পরে জানা যায়, শুধুমাত্র যাঁরা ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তাঁদেরই ওই পদে নিয়োগের জন্য বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু ৭৫ শতাংশ নম্বরের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল না।
এই নিয়ে রাজস্থান হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু ২০১০ সালে ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় জানিয়েছে।
পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে— চাকরির জন্য আবেদন জমার বিজ্ঞপ্তি থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তা শেষ হয় শূন্যপদ পূরণ হওয়ার পরে। এই প্রক্রিয়ার মাঝ পথে নিয়োগের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি বদলানো যায় না। যদি পরীক্ষার নিয়মে সেটি উল্লেখ থাকে, এক মাত্র তবেই বদলানো যায়। পরীক্ষার নিয়মের ক্ষেত্রেও সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ (সাম্যের অধিকার) এবং ১৬ অনুচ্ছেদ (সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পক্ষপাতহীনতা) মেনে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy