Advertisement
E-Paper

নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতির খোঁজে তদন্ত নয়, সিট গঠনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে চালু হওয়া নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করেছিল। ওই বন্ডের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থাগুলি রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিত।

Supreme Court rejects pleas seeking SIT probe into electoral bonds scheme

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৪১
Share
Save

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল। নির্দেশ ঘোষণা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।’’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ওই রায়ে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘কুইড প্রো কুয়ো’ বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া।

একই সঙ্গে বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদলত বলেছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া এবং নেওয়ার সময় তা ‘কুইড প্রো কুয়ো’ বা ‘ক্ষতিকারক’ ছিল কি না, তা নিয়ে এখন তদন্ত হতে পারে না।’’

ওই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি ‘অসাংবিধানিক’ বললেও নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই ওই ব্যবস্থা (নির্বাচনী বন্ড) চালু করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘যদি সৎ প্রতিফলন দেখা যায়, সকলেই এক দিন এ নিয়ে অনুশোচনা করবে।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনওই বলিনি একটি সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।’’ অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ড আদৌ কোনও স্বচ্ছতার কর্মসূচি নয়, বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় তোলাবাজির চক্র। আর নরেন্দ্র মোদী তার মাস্টারমাইন্ড (মূলচক্রী)।’’

Supreme Court Electoral Bonds

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}