আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। — ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্ট শুনলই না আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের আবেদন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় আপ নেতাকে তলব করেছিল গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালত। সেই সমনকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয়। সোমবার আপ নেতার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় শুধু সঞ্জয় নন, নাম রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালেরও। সঞ্জয় এবং কেজরীর করা কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল। গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, দুই আপ নেতার এ সব কথা বলার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই দুই আপ নেতাকে তলব করে সমন পাঠিয়েছিল গুজরাত আদালত।
মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে মোদীর ডিগ্রির প্রমাণ চেয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মুখ্য তথ্য কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারকে মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য গুজরাত হাই কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
আবেদন খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীওয়ালের করা কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল। সেখানে তাঁর অভিযোগ, হাই কোর্টের রায় শোনার পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন, তাতে মানহানি হয়েছে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের।
পীযূষের অভিযোগ, কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী দিল্লি এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তা হলে তো গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নিয়ে উৎসব করা উচিত যে, তাঁদের প্রাক্তনী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন! কিন্তু তা-ও তারা সব কিছু ঢাকাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ডিগ্রির শংসাপত্র দেখানো হচ্ছে না তার কারণ সম্ভবত ডিগ্রিটি ভুয়ো। যদি সত্যিই ডিগ্রি থাকত তা হলে সেটা দেখাতে কেন এত আপত্তি?’’ কেজরীর এই মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ পীযূষের।
অন্য দিকে আপ সাংসদ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পীযূষের অভিযোগ, ‘‘তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি আসলে সত্যি, এটা প্রমাণ করতে।’’
পীযূষের মামলাতেই গুজরাতের আদালত তলব করেছিল দুই আপ নেতাকে। গুজরাত হাই কোর্টে মামলার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাই কোর্ট আবেদন না শোনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী এবং সঞ্জয়। সোমবার সেই মামলায় ধাক্কা খেলেন সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া আপ সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy