Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bihar Caste Census

স্বস্তিতে নীতীশ সরকার, বিহারে জাত সমীক্ষার তথ্য প্রকাশে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

বিহার সরকারের জাতগণনার পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন আবেদনকারীরা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২৬
Share: Save:

বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষার তথ্য প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ এ বিষয়ে আবেদনকারীদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। গত ১ অগস্ট পটনা হাই কোর্ট জাতসমীক্ষায় ছাড়পত্র দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারীরা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিহার সরকার এবং কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই গত ২ অক্টোবর জাতসমীক্ষা সংক্রান্ত প্রথম দফার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার।

গত নভেম্বরে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। বিহারে জেডি(ইউ)-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার দ্রুত শুরু করে জাতগণনা। গত ৬ জুন নীতীশ সরকার জাতগণনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এর পর বিহার সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল পটনা হাই কোর্টে।

বিহারে জাতগণনার প্রথম পর্ব ৭ থেকে ২১ জানুয়ারি হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্ব ১৫ মে পর্যন্ত চলার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই গত ৪ মে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল পটনা হাই কোর্ট। কিন্তু গত ১ অগস্ট জাতসমীক্ষার বিরুদ্ধে পটনা হাই কোর্টে যে জনস্বার্থ মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি পার্থ সারথির বেঞ্চ। এর পরেই শুরু হয় জাতগণনার দ্বিতীয় পর্ব। গত ২ অক্টোবর তার প্রথম দফার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিহারে ওবিসি জনগোষ্ঠী মোট ৬৩ শতাংশ। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতি অনগ্রসর (ইবিসি) এবং ২৭ শতাংশের সামান্য বেশি সাধারণ অনগ্রসর গোষ্ঠীর। এ ছাড়া বিহারে প্রায় সাড়ে ১৯ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন বলে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে। অসংরক্ষিত (জেনারেল) শ্রেণির বাসিন্দা সাড়ে ১৫ শতাংশের সামান্য বেশি। লোকসভা ভোটে বিষয়টি বিহারের জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠন্ধনের প্রচারের অন্যতম বিষয় হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। কারণ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ওবিসি কোটা বৃদ্ধি করার দাবি উঠেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy