দিল্লিতে জমা আবর্জনার স্তূপ। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূষণ মোকাবিলায় আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলে। সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লির দূষণ নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহেই সম্প্রতি রাজধানীতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে দিল্লির সরকার। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৬ কার্যকর করতে দিল্লির সরকার ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ বলে মনে করছে আদালত। দিল্লির মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছে।
দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্র বেঞ্চে বিচারাধীন। চলতি সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মুখ্যসচিবকে দিল্লি পুরনিগম-সহ অন্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি সব পক্ষ আলোচনা করে আইন সঠিক ভাবে কার্যকরের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তা হলে আদালত কড়া নির্দেশ দিতে বাধ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্টের মতে, দিল্লিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন শুধুমাত্র খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি দিল্লির রাজধানী অঞ্চলেই আইন প্রণয়ন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়, তবে অন্য শহরগুলিতে কী পরিস্থিতি তা সহজেই অনুমেয়।
প্রসঙ্গত, রবিবারও দিল্লির রাজধানী অঞ্চলে বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৪২৮ ছিল, যা ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে পড়ে। এই নিয়ে টানা পাঁচ দিন দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের গুণমান সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভাল’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’ বলে ধরা হয়। বাতাসের গুণমান সূচক ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy