সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে বিচারাধীন নিট সংক্রান্ত মামলা স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলাগুলি একত্রে শুনতে চায় শীর্ষ আদালত। সে বিষয়ে একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিট মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) পৃথক ভাবে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে উঠেছিল। বর্তমানে দেশের সাতটি হাই কোর্টে নিট দুর্নীতির একাধিক মামলা বিচারাধীন। বৃহস্পতিবার সেই মামলাগুলি স্থগিত করেছে আদালত। সাতটি হাই কোর্টের মামলা একত্রে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একসঙ্গে শুনানির জন্য নোটিসও জারি করেছে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
নিটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ বছরের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। সেই আবেদন জানিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। আদালতের তত্ত্বাবধানে এই দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন মামলাকারীরা। এই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে বৃহস্পতিবার পৃথক ভাবে কেন্দ্র এবং এনটিএকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ জুলাই। সে দিন কেন্দ্র এবং এনটিএ-কে আদালতের নোটিসের জবাব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার নিট সংক্রান্ত মোট ১৪টি মামলা শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে ১০টি মামলা ৪৯ জন ছাত্রছাত্রী এবং একটি ছাত্র সংগঠনের (এসএফআই) করা। বাকি চারটি মামলা করা হয়েছে এনটিএ-র তরফে। এনটিএ দেশের বিভিন্ন হাই কোর্ট থেকে নিট সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করার আবেদন জানিয়েছে।
নিটের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া এখনই স্থগিত করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আগে তাঁরা এনটিএ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব শুনতে চান। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের বক্তব্য না শুনে এই তদন্তের ভার সিবিআইকে দিতেও রাজি নয় শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন দেশে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন নিটের ফলও প্রকাশিত হয়। দেখা যায় ৬৭ জন একসঙ্গে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। তাঁদের মধ্যে অনেকে একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ ছাড়া, নিটে কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে যে নম্বর দেওয়া হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তা সম্ভব নয় বলেও অভিযোগ। বিতর্কের মাঝে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পরীক্ষার জন্য সময় কম পাওয়ায় কয়েক জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়। পরে মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কেন্দ্রের তরফে বাড়তি নম্বর বাতিল করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। তার পরেও বিতর্ক থামেনি। অভিযোগ, পরীক্ষার আগের দিন নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ধরপাকড়ও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy