সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্য তথা রাজ্যপাল কখনওই ‘সুপার অথরিটি’ হতে পারেন না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হয়ে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমনি বলেন, “কোন পদ্ধতিতে উপাচার্য নিয়োগ হবে, সুপ্রিম কোর্ট তা ঠিক করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নামের আদ্যক্ষরের ক্রমানুসারে তালিকা তৈরি করা হবে। কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন থাকছে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।”
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “তালিকায় থাকা সবাইকে নিয়োগ করা সম্ভব নয়। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের স্বার্থে উপাচার্য নিয়োগের কাজটা কাউকে শেষ করতে হবে। আমরা কোনও বিবাদ চাই না।” বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া মন্তব্য করেন, “আচার্য তথা রাজ্যপাল কখনওই সুপার অথরিটি হতে পারেন না।” সুপ্রিম কোর্ট আজ আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, ললিত-কমিটির তৈরি তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই উপাচার্য বাছাই তালিকা তৈরি করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ অনুসারে সেই তালিকা রাজভবনে পাঠানো হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৯ ডিসেম্বর।
আজ বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, দু’-একটি ছোটখাট সমস্যা ছাড়া পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারব। কোনও বিবাদ হলে আমরা তার সমাধান করব। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সে দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে।”
পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিচারপতি সূর্য কান্তের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের দেখা হয়। সেখানে তিনি জানান, ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪টিতে উপাচার্য বাছাইয়ের কাজ শেষ পর্বে। বাকি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যোগ্য উপাচার্য পাওয়া যাচ্ছে না। তার জন্য নতুন করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy