Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
NCP

‘ঘড়ি’ প্রতীকে সতর্কীকরণ আবশ্যিক! অজিত গোষ্ঠীকে ফের সাবধান করে ৩৬ ঘণ্টা সময়সীমা দিল সুপ্রিম কোর্ট

আগেও একাধিক বার এনসিপির অজিত গোষ্ঠীকে ‘ঘড়ি’ প্রতীকের সঙ্গে সতর্কীকরণ ব্যবহারের জন্য বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ওই নির্দেশ সঠিক ভাবে কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ বার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৬
Share: Save:

মহরাষ্ট্রের নির্বাচনের মুখে এনসিপির অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকে আবারও সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র ‘ঘড়ি’ প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অজিত গোষ্ঠীকে আগেই সতর্কীকরণ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নির্দেশ মেনে চলছে না অজিত গোষ্ঠী। এ বার তাই নির্দেশ অনুসারে সতর্কীকরণ ব্যবহারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অজিত গোষ্ঠীকে আদালতের নির্দেশ মেনে ‘ঘড়ি’ প্রতীকের সঙ্গে সতর্কীকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চে বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল। শীর্ষ আদালত আগেও অজিত গোষ্ঠীকে জানিয়েছিল রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচারে ‘ঘড়ি’ প্রতীক ব্যবহার হলে, তার সঙ্গে সতর্কীকরণ উল্লেখ থাকতে হবে। আদালতের নির্দেশ ছিল, ‘ঘড়ি’ প্রতীক সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন এবং এই বিষয়ে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো এখনও বাকি— এই মর্মে একটি সতর্কীকরণ উল্লেখ থাকতে হবে নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে। কিন্তু শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর অভিযোগ, অজিত গোষ্ঠী কোনও সতর্কীকরণ ব্যবহার করছে না। শরদ গোষ্ঠীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ অক্টোবরও অজিত গোষ্ঠীকে সতর্ক করেছিল আদালত। বুধবার ফের এক বার সতর্ক করা হয় অজিত গোষ্ঠীকে। শুধু সতর্ক করাই নয়, এ বার অজিত গোষ্ঠীকে সময়সীমাও বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত।

এনসিপিতে ভাঙনের পর থেকেই ‘ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে টানাটানি চলছে অজিত ও শরদ গোষ্ঠীর মধ্যে। এনসিপিতে ভাঙন ধরার পর অজিত গোষ্ঠীর এনসিপিকেই ‘আসল এনসিপি’ বলে চিহ্নিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছিল, ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার পাবে অজিতের গোষ্ঠী। শরদের গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) বরাদ্দ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শরদ গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অজিত-গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার। তবে ‘ঘড়ি’ সতর্কতা ব্যবহারের সঙ্গে সতর্কীকরণ উল্লেখ রাখার কথাও বলেছিল আদালত।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এনসিপির ‘ঘড়ি’ প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না শরদ গোষ্ঠী। তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন নতুন প্রতীক বরাদ্দ করেছে। ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’-র প্রতীক। বিধানসভা ভোটের আগে পুনরায় বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনে শরদ গোষ্ঠী। মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে অজিতদের ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়, সেই আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন শরদ। মামলায় শরদের আবেদন ছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অজিতদের নতুন কোনও প্রতীক বেছে নিতে নির্দেশ দেওয়া হোক। অন্যথায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ গত মাসেও প্রতীকের সঙ্গে ‘সতর্কীকরণ’ ব্যবহারের জন্য সতর্ক করেছিল অজিত গোষ্ঠীকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Maharashtra Assembly Ajit Pawar Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE