Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রদেশভিত্তিক সংখ্যালঘু ঘোষণায় নারাজ কোর্ট

২৬ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি, যেখানে পার্সি, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ এবং বৌদ্ধদের ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন উপাধ্যায়।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫২
Share: Save:

ভারতের আটটি প্রদেশে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার আর্জি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত জানিয়ে দিলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুর তকমা কখনওই প্রদেশভিত্তিক নয়।

আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা করে আবেদন করেছিলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুত্বের বিচার যেন প্রদেশভিত্তিক হয় এবং সেই সূত্রে যেন আটটি প্রদেশে হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্জাব, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর এবং সদ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা পাওয়া জম্মু-কাশ্মীর। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, এই আটটি প্রদেশে হিন্দুরা সংখ্যায় কম।

২৬ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি, যেখানে পার্সি, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ এবং বৌদ্ধদের ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন উপাধ্যায়। কিন্তু প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ভাষাকে যদি বা রাজ্যের সীমানায় বাঁধা যায়, ধর্মকে যায় না। ধর্মের ব্যাপারে সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিই গ্রহণ করতে হবে।’’ সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত এও মনে করিয়ে দিয়েছে যে, কোনও সম্প্রদায়কে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা আদালত করে না। করে সরকার। এর আগে উপাধ্যায়কে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনে যেতে বলেছিল আদালত। কিন্তু কমিশন পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করে ফের আদালতেই ফিরে এসেছিলেন উপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: আসুর বিক্ষোভে আটক, পরে ছাড়া পেলেন সমুজ্জ্বল

কিন্তু আদালত তাঁর আর্জি খারিজ তো করেছেই। পাশাপাশি, এ প্রশ্নও তুলেছে, ‘‘মুসলিমরা যদি কাশ্মীরে সংখ্যায় বেশি এবং অন্যত্র সংখ্যায় কম হন, তা হলে অসুবিধেটা কোথায়?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Of India Hindu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE