উত্তরাখণ্ডে এক মৃত চিকিৎসকের পরিবারেকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ন’বছর আগে উত্তরাখণ্ডের এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনার পরে রাজ্য সরকার ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিল। উত্তরাখণ্ডের তৎকালীন মুখ্যসচিবের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওই ক্ষতিপূরণে অনুমোদনও দিয়ে দেন। অভিযোগ, সেই টাকা পরিবার কাছে এসে পৌঁছোয়নি। ক্ষতিপূরণে দেরি হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্ট দ্বিগুণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। ওই বছরের এপ্রিলে উত্তরাখণ্ডের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী দেখার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চিকিৎসকের। সরকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা পেতে দেরি হওয়ায় প্রথমে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। পরিবারের দাবি, সরকারের থেকে কেবল এক লক্ষ টাকাই দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ওই সময়ে জানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, ২০১৮ সালে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সাড়ে সাত শতাংশ হারে সুদ-সহ নিহতের স্ত্রীকে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সঙ্গে পেনশনের যাবতীয় সুবিধাও মৃতের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
হাই কোর্টের নির্দেশের পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উত্তরাখণ্ড সরকার। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ ওই মামলায় মৃতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার শুনানিতে উঠে এসেছে, প্রথমে এক লক্ষ টাকা এবং পরে আরও ১০ লক্ষ টাকা নিহতের পরিবারকে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেই মতো বাকি ৮৯ লক্ষ টাকা পরিবারকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।