Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Patanjali Advertisement Case

রামদেবের পতঞ্জলির ‘১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন চলবে না’, আইএমএ-কে দায়িত্ব দিল সুপ্রিম কোর্ট

এই মামলায় পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহাতগি মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনগুলি ডিজিটাল মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

যোগগুরু রামদেব।

যোগগুরু রামদেব। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:৩০
Share: Save:

যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আবার কড়া পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, গত এপ্রিলে উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির যে ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম-সহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সেগুলির বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে হবে।

ওই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার সংক্রান্ত পুরো বিষয়টির নজরদারির ভার ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (আইএমএ)-কে দিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, পতঞ্জলির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। এই মামলায় পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহাতগি মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনগুলি ডিজিটাল মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে পতঞ্জলিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসাবে নিজেদের ওষুধ সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ প্রচার করার বিষয়ে সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। জরিমানা হতে পারে বলেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। সেই মামলাতেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের নিন্দা করে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম বার করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। তার পর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।

সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র। সেই মামলার জেরে পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE