Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Peoples representation Act 1951

‘দাগি নেতাদের মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গড়ুন’, হাই কোর্টগুলিকে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

শীর্ষ আদালত রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছে, প্রতিটি হাই কোর্টের বিচারপতি বা তাঁর মনোনীত এক জন সিনিয়র বিচারপতিকে ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকতে হবে।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪১
Share: Save:

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত শুনানির জন্য নজরদারির উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি হাই কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই উদ্দেশ্যে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের জন্যেও প্রতিটি হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালত রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছে, প্রতিটি হাই কোর্টের বিচারপতি বা তাঁর মনোনীত এক জন সিনিয়র বিচারপতিকে ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ— বিরল এবং বাধ্যতামূলক কারণ ছাড়া সাংসদ, বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলির শুনানি স্থগিত রাখা যাবে না। নিম্ন আদালতগুলির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত করার জন্য হাই কোর্টগুলিকে সক্রিয় হতে বলেছে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা পাওয়া সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ অবশ্য জানিয়েছে, এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলির জন্য অভিন্ন নির্দেশিকা জারি করার বিষয়টি যথেষ্ট কঠিন।

গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত নেতাদের আজীবন ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক— এই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি দায়ের হয়। গত সাত বছর ধরে মামলাটির শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আদালত বান্ধব বিজয় হংসরিয়া তাঁর রিপোর্টে ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলেছিলেন।

হংসরিয়া ওই রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘এক জন সরকারি কর্মী ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গেলে স্থায়ী ভাবে চা়করি থেকে বিতাড়িত হন। এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাজার মেয়াদ শেষের ছ’বছরের মধ্যেই আবার ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’’ আদালত বান্ধবের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়েই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy