প্রতীকী ছবি।
দূষণের জন্য বারবার বাজির দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু গাড়ির কারণে সম্ভবত তার চেয়ে অনেক বেশি দূষণ হয়। এ ব্যপারে তুলনামূলক সমীক্ষা হয়েছে কি না, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
গোটা দেশে বাজি তৈরি নিষিদ্ধ করার আর্জি নিয়ে আজ বিচারপতি এস এ বোবদে এবং এস এ নাজ়িরের বেঞ্চে শুনানি হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণন যুক্তি দেন,
দিওয়ালি-সহ কয়েক দিনের উৎসবে যত বাজি পোড়ে, তাতে ‘দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকা’য় বছরে ২.৫ শতাংশ দূষণ বেড়ে যায়। বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এ এন এস নাদকার্নির কাছে জানতে চায়, ‘‘গাড়ি ও বাজি, কোনটির কারণে কত দূষণ ছড়ায়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য আছে কি? মনে হচ্ছে, গাড়ি অনেক বেশি দূষণ ঘটায়। অথচ আপনারা বাজির পিছনে দৌড়াচ্ছেন।’’ শুনানিতে আগাছা পোড়ানো, হাইব্রিড গাড়ি থেকে দূষণের প্রসঙ্গও ওঠে।
সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, যে কোনও নাগরিক নিজের পছন্দ মতো যে কোনও পেশা বা বৃত্তিতে থাকতে পারেন। আদালতের বক্তব্য, দেশে বাজি বিক্রির জন্য যদি ছাড়পত্র দেওয়া হয়, তবে এর ঊৎপাদন কী ভাবে নিষিদ্ধ করা সম্ভব? এ ছাড়া, বাজি তৈরি নিষিদ্ধ হলে যাঁরা কাজ খোয়াবেন, তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কী হবে, সেটাও জানাতে হবে সরকারকে। কারণ, আদালত তাদের টাকা জোগাবে না। তাঁদের উপরে নির্ভরশীল পরিবারগুলিকে সাহায্যও করতে পারবে না। জবাবে এএসজি নাদকার্নি উল্লেখ করেন, এই জন্যই কম দূষণকারী ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। তাতে দূষণ কমবে, কর্মসংস্থানও হবে। ‘পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন’ ২১ মার্চের মধ্যে এর উপাদান সম্পর্কে
চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে। এই মামলার পরের শুনানি হবে ৩ এপ্রিল। গত বছর থেকে আদালত বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেধে দিয়েছে। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy