জরুরি অবস্থা নিয়ে টুইট-তরজা। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
জরুরি অবস্থা নিয়ে জোর তরজা। সকালে বিজেপির নিশানায় ছিল কংগ্রেস ও গাঁধী পরিবার। বেলা গড়াতেই নিশানায় চলে এল তৃণমূলও।
জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই চালিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ আজ সকালে সেই সব ‘মহান দেশপ্রেমীদের প্রতি’ শ্রদ্ধা জানাতেই জবাব আসে বাংলা থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, ‘‘১৯৭৫ সালে আজকের দিনে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে দেশে সুপার-ইমার্জেন্সি চলছে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করতে হবে।’’
মোদীর বিরুদ্ধে আগেও এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর পাল্টা বিজেপির প্রকাশ জাভড়েকর আজ সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে সেটাও জরুরি অবস্থা থেকে কিছু কম নয়।’’ পরিবেশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাভড়েকর আঙুল তোলেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে ওখানে। আমরা ১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গেও লড়ব।’’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে কেউ কেউ জরুরি অবস্থা বলছেন, এটা শুনে ধাক্কা খেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন জাভড়েকর। দাবি করেন, ‘‘এখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে। বিপ্লব ঘটে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও কেবল টিভির ক্ষেত্রে। বর্তমান সময়কে যাঁরা জরুরি অবস্থা বলছেন, তাঁরা সেই সময় কংগ্রেসে ছিলেন। ফের যাতে স্বাধীনতা খোয়া না-যায় সে জন্যই জরুরি অবস্থার কথা সব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরি।’’ সন্দেহ নেই জরুরি অবস্থা নিয়ে নিজেদের ভাষ্য তুলে ধরতেই আজ সকালে টুইট করে, পরে লোকসভায় কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদী। টুইট করেছেন ও বিবৃতি দিয়েছেন শাহ ও জে পি নড্ডার মতো নেতারা।
ইন্দিরা গাঁধীর জারি করা জরুরি অবস্থা চলেছিল ১৯৭৭-এর ২১ মার্চ পর্যন্ত। এখনও ফের জরুরি অবস্থা চলছে কি না— তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল তরজার মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের টুইট-আহ্বান, ‘‘আসুন শপথ করি, দেশে আর জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি ফিরে আসতে দেব না।’’ কিন্তু ওই টুইটেই তিনি লিখেছেন, আজ থেকে ৩৪ বছর আগে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, দেশের গণতন্ত্রের উপরে যা ছিল সবচেয়ে বড় ধাক্কা।’’ এতে বিদ্রুপের ঝড় উঠেছে নেটে। ৪৪-কে ৩৪ লেখার জন্য কেউ টিপ্পনি কেটেছেন, ‘‘অঙ্কের মাথাটা গিয়েছে, চিকিৎসা দরকার আপনার।’’ অন্য পক্ষের খোঁচা, ‘‘এই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হল না বলে ক’দিন আগেই তো গলা ফাটিয়ে মিডিয়ার সামনে কাঁদছিলেন!’’ সারা দিনে টুইটের ওই ভুল শুধরে নেননি আপ সভাপতি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy