সম্প্রতিই লোকসভার সাংসদের উপস্থিতির একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সানির সংসদ হাজিরা অত্যন্ত কম। ফাইল চিত্র।
তাঁর বিখ্যাত সংলাপ ‘তারিখ পে তারিখ’ আজও ভোলেনি দেশ। কিন্তু সাংসদ হওয়ার পর দেশের হয়ে দায়িত্ব পালনের তারিখ বোধ হয় বার বার ভুলেই যান বিজেপির গুরদাসপুরের লোকসভা সাংসদ তথা অভিনেতা সানি দেওল। পর পর দু’টি অধিবশনে সংসদে তাঁর দেখা না পাওয়ায় এ বার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অভিনেতা সাংসদের ‘দেশভক্তি’ নিয়ে। বর্ষার অধিবেশনে সানি-দর্শন হয়নি লোকসভার। দেখা গলে শীতকালেও হল না ‘সূর্যোদয়’। তবে এ ব্যাপারে অভিনেতা সংসদের ব্যক্তিগত সচিবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়েছেন, সানির লোকসভায় আসা জরুরি নয়। দেখতে হবে তাঁর কেন্দ্রে উন্নয়নের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না।
সম্প্রতিই লোকসভার সাংসদের উপস্থিতির একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সানির সংসদ হাজিরা অত্যন্ত কম। পারফরম্যান্সও চোখে পড়ার মতো নয় একেবারেই। গত সাড়ে তিন বছর ধরে গুরদাসপুরের সাংসদ তিনি। আর এই সাড়ে তিন বছরে তাঁর সংসদে হাজিরার গড় মাত্র ২১ শতাংশ। যেখানে অন্য সাংসদদের গড় উপস্থিতির হার ৭৯শতাংশ। এই সাড়ে তিন বছরে একটিও বিলের প্রস্তাব আনেনি সানি সংসদে। এড়িয়ে গিয়েছেন যাবতীয় বিতর্ক সভা। এমনকি সংসদে মুখ খুলেছেন কেবলমাত্র একটিবার। সেই একবার তিনি কথা বলেছিলেন পঞ্জাবের বালি খাদান সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। তার পর থেকে আরএ একটি কথাও তাঁর মুখে শুনতে পাওয়া যায়নি। বিজেপির এই অভিনেতা সাংসদের ‘‘আড়াই কিলোর হাত’’-এর সংলাপটিও বিখ্যাত। বিজেপি কি সেই আড়াই কিলোর হাতে ভুল দায়িত্ব সঁপেছে?
যদিও অন্য একটি পরিসংখ্যান বলেছে, সাংসদ হিসাবে সানির বাবা ধর্মেন্দ্রও ছিলেন কিছুটা একই রকম মুখচোরা। সংসদচত্বরে তাঁকে যদি বা দেখা যেত, তাঁর মুখে কথা শোনা যেত না তেমন। অন্য দিকে এই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গিনী সাংসদ হেমা মালিনী সংসদে বেশ সক্রিয়। ৭৪ বছর বয়সেও নিয়মিত সংসদ ভবনে দেখা যায় তাঁকে। গত সাড়ে তিন বছরে সংসদে ৭৪টি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন ১৭টি বিতর্কসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy