শিশির অধিকারী। ফাইল চিত্র।
সাংসদ শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৮ অগস্টের ওই চিঠিতে সুদীপ লিখেছেন, সম্ভবত ইচ্ছাকৃত ভাবে সময় নষ্ট করার জন্যই এ ভাবে বিষয়টিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন শিশির।
শিশিরের বিষয়ে গত ২৮ জুলাই বৈঠক ডেকেছিল সংসদীয় স্বাধিকার কমিটি। তৃণমূলের অভিযোগ, পুত্র শুভেন্দুর মতো শিশিরও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সাংসদ পদ ছাড়েননি। তাই গত বিধানসভা ভোটের পরেই শিশিরের পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু শিশির শিবিরের দাবি, ২০২১ সালের মার্চে তিনি অমিত শাহের জনসভায় গেলেও অন্য দলের পতাকা ধরেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হয় না।
আজ তৃণমূলের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব চেয়ে স্পিকারের তরফে গত বছরের ১৫ জুলাই শিশিরকে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি সেই চিঠির জবাব দিয়েছিলেন ২১ নভেম্বর। এই বিলম্ব স্পিকারের পক্ষে অসম্মানজনক। তাই এ বারের চিঠিতে সুদীপ লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ভাবে ঝুলিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন শিশির।’’ সেই কারণেই প্রবীণ সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনে দ্রুত পদক্ষেপের অনুরোধ করেছে তৃণমূল।
এ দিকে, গত পাঁচ বছরে (২০১৬-’২১) সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে দলবদলের ফলে বিজেপিই সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই সময়ে গোটা দেশে ৪০৫ জন বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন, যাঁদের ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৮২ জন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বহু রাজ্যে শাসক শিবিরের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গড়ায় মদত দিয়েছে বিজেপি। অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে সরকার পড়ে গিয়েছে। রাজ্যসভায় ১৬ জন দলত্যাগী সাংসদের মধ্যে ১০ জনই যোগ দিয়েছেন শাসক শিবিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy