পরীক্ষার সেই উত্তর ভাইরাল হয়েছে।
স্কুলের পরীক্ষায় পঞ্জাবের ভাকরা নাঙ্গল প্রকল্প সম্পর্কে ব্যাখ্যামূলক উত্তর লিখতে বলা হয়েছিল। এক ছাত্র এই প্রকল্পকে যে ভাবে ব্যাখ্যা করেছে, তা দেখে শিক্ষকের ভিরমি খাওয়ার অবস্থা।
উত্তরের শুরুতে দু’তিন লাইন ভাকরা নাঙ্গল সম্পর্কে লিখেছিল সে। এর পর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যা লিখেছিল সেই উত্তরটা ঠিক এ রকম—
‘শতদ্রু নদীর উপর ভাকরা নাঙ্গল বাঁধ। শতদ্রু নদী পঞ্জাবে। পঞ্জাব সর্দারদের দেশ। সর্দার পটেলও এক জন সর্দার ছিলেন। তাঁকে ভারতের লৌহপুরুষ বলা হয়। লোহা তৈরি হয় টাটায়। তবে হাত দিয়ে টা টা করতে হয়। আর আইনের হাত অনেক লম্বা। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু আইন জানতেন। ওঁকে বাচ্চারা ‘চাচা নেহরু’ নামে ডাকত। চাচা নেহরু গোলাপ খুব পছন্দ করতেন। গোলাপ তিন ধরনের হয়। খাওয়ার শরবত, খেলার জন্য এবং গুলাবরী। গুলাবরী খুব মিষ্টি। মিষ্টি তো চিনিও। চিনি পিঁপড়ের খুবই পছন্দের খাবার।
পিঁপড়েকে খুবই অপছন্দ করে হাতিরা। লন্ডনের হাতি বিখ্যাত। লন্ডন জার্মানির খুবই কাছে। আর জার্মানিতে বার বিখ্যাত। বার আট ধরনের— সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রবি এবং ওয়ার্ল্ড ওয়ার। ওয়ার্ল্ড ওয়ার খুব ভয়ঙ্কর। ভয়ঙ্কর তো সিংহও! সিংহেরও মন আছে। সেই মন খুবই চঞ্চল। চঞ্চল আমার পিছনে বসে। মধুবালার ছোট বোন চঞ্চল। শক্তি ছবিতে অভিনয় করেছেন মধুবালা। শক্তি আমাদের মুঠোয়। ছোট ছোট ঝগড়ায় মুঠো পাকিয়ে মারার শখ পঞ্জাবিদের আছে। পঞ্জাবিরা পঞ্জাবে থাকে। আর পঞ্জাবে ভাকরা নাঙ্গল বাঁধ আছে।’
ছাত্র লেখার শুরু করেছিল ভাকরা নাঙ্গল বাঁধ নিয়ে। মাঝে সর্দার বল্লভভাই পটেল, জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে হাতি, সিংহ, মিষ্টি, মধুবালা, ওয়ার্ল্ড ওয়ার সব জুড়ে দিয়ে শেষে আবার ভাকরা নাঙ্গলেই ফিরেছে সে। পরীক্ষায় নম্বর ছিল ১০। তাতে শিক্ষক দিয়েছেন শূন্য। এবং সেই নম্বরের পাশে শিক্ষকও কৌতুকের ছলে লিখেছেন, ‘শিক্ষক কোমায় চলে গিয়েছে!’
তবে এই স্কুল কোথাকার, তা অবশ্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy