বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের মারপিটে প্রাণ গেল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় জেলায়। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, একটি কোচিং সেন্টারে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের মধ্যে গোলমাল বাধে। ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পড়ুয়াদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। ১৬ বছর বয়সি ওই ছাত্রকে ভর্তি করানো হয় কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে। শুক্রবার বেশি রাতে ১টা নাগাদ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কিশোরের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত কিশোরকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, স্থানীয় দু’টি স্কুলের পড়ুয়ারা এই গোলমালের ঘটনায় জড়িত। মারপিটের পর শুরুতে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার আঘাত গুরুতর বলে মনে হয়নি। স্থানীয় এক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর পুনরায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কোঝিকোড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কোমায় চলে যায় কিশোর।
ওই মারপিটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন পড়ুয়াকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্যে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হবে। তারা প্রত্যেকেই নাবালক এবং শনিবার তাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে। কী কারণে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন কোচিং সেন্টারে একটি বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দু’পক্ষের পড়ুয়ার মধ্যে বাদানুবাদ হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ওই একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের এক বার গোলমাল বাধে পড়ুয়াদের। তার জেরেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
কেরলের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি। রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তাকে বিভাগীয় অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি কোঝিকোড়ের শিক্ষা বিভাগের উপ-অধিকর্তা একটি প্রাথমিক অনুসন্ধান রিপোর্টও জমা দিয়েছেন।”