রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রতিক্রিয়া পওয়ারের। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ক ধারা, অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ৫ মে তার চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাচক্রে একই দিনে এনসিপি কর্ণধার শরদ পওয়ার ভীমা কোরেগাঁও তদন্ত কমিশনের কাছে বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করাই উচিত বলে তিনি মনে করেন। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-ই যথেষ্ট।
বুধবার ভীমা কোরেগাঁও কমিশনের কাছে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়েছেন পওয়ার। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘১৮৭০ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্রিটিশরা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন চালু করেছিল। সেই আইন এখন প্রায়শই সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে, আইনের অপব্যবহার করে গণতান্ত্রিক বিরোধী স্বরকে দমন করা হচ্ছে।’’ পওয়ারের প্রস্তাব, হয় আইন সংশোধন করা হোক, নয় আইনটি বাতিল করা হোক। ‘‘এ কথার বলার পিছনে কারণ আছে। কেননা জাতীয় সংহতি রক্ষার ক্ষেত্রে ইউএপিএ আইনটিই যথেষ্ট।’’ প্রসঙ্গত ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দি একাধিক সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন এবং ইউএপিএ-তে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আগামী মাসে পওয়ারকে ডেকে পাঠিয়েছে কমিশন। তবে তাঁর হলফনামায় পওয়ার দাবি করেছেন, ২০১৮-র ভীমা কোরেগাঁও অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর কিছু জানা নেই। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করারও নেই। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের অশান্তি এড়ানোর জন্য প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের
মধ্যে আরও বেশি করে সমন্বয় বাড়ানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। সংবাদমাধ্যম থেকে আগাম তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ-প্রশাসনকে তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সরকার এবং প্রতিবাদীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজেও সংবাদমাধ্যমের সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জায়গা রয়েছে, বলেছেন পওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy