স্পাইসজেটের বিমানের যাত্রীরা আটকে রইলেন এরোব্রিজে। ফাইল ছবি।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লি বিমানবন্দরের। এ বার বেঙ্গালুরুগামী বিমানের যাত্রীদের একটি এরোব্রিজে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেটের বিরুদ্ধে। স্বভাবতই এরোব্রিজে ছিল না বসার কোনও ব্যবস্থা। দীর্ঘ ক্ষণ এরোব্রিজে আটকে থাকায় অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন কয়েক জন বয়স্ক মানুষ। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা।
গত ১০ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুগামী বিমানে উঠতে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন যাত্রীরা। নিরাপত্তার পরীক্ষার পর তাঁদের ‘ওয়েটিং এরিয়া’ বা অপেক্ষা করার জায়গা পেরিয়ে বিমানের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানে তাঁরা উঠতে পারেননি। দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এরোব্রিজেই। বিমানবন্দরের সঙ্গে বিমানের সংযোগরক্ষাকারী সেতুকে বলা হয় এরোব্রিজ। সেই সেতু দিয়েই বিমানে ঢুকতে হয়। যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেখানে থাকে না বসার কোনও ব্যবস্থা। এমন একটি জায়গায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকতে হয় বেঙ্গালুরুগামী স্পাইসজেটের যাত্রীদের। সেই ঘটনার বলে দাবি করে সমাজমাধ্যমে ঘুরছে একটি ভিডিয়ো। তাতে দাবি করা হয়েছে, বয়স্করা জল চাইতে স্পাইসজেটের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘‘একেবারে বিমানে উঠেই জল দেওয়া হবে। একটু অপেক্ষা করুন।’’ যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।
এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই বিবৃতি জারি করে স্পাইসজেট। সংস্থা জানায়, ‘বিমান ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় যাত্রীদের এরোব্রিজে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল।’ ডিজিসিএ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করছে স্পাইসজেটের কাছে।
সম্প্রতি ভারতের আকাশ এবং বিমানবন্দরে বিতর্কের ঘনঘটা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মত্ত অবস্থায় মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা দেশ তোলপাড়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে। ঘটনার অভিঘাতে তাঁর চাকরিও গিয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লি বিমানবন্দরের প্রস্থান ফটকের কাছে প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ করে গ্রেফতার হয়েছিলেন জাউহর আলি খান নামে এক যাত্রী। পরে অবশ্য তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। অন্য দিকে দিল্লি ফেরার পথে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেই ৫৫ জন যাত্রীকে রেখে আকাশে উড়ে যায় একটি বিমান। সেই বিমান সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন, ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে যাত্রীদের এরোব্রিজে আটকে থাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy