শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সংঘাতপূর্ণ বাতাবারণ। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-এর ডিজি পর্যায়ের বৈঠক। যা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
ঢাকায় ক্ষমতা পরিবর্তনের আঁচ পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। গত জানুয়ারিতে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগাতে গেলে তাতে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। বিষয়টি গড়ায় কূটনৈতিক পর্যায়েও। নয়াদিল্লি অবশ্য সীমান্ত নিরাপত্তা ও সীমান্তে পরিকাঠানো উন্নয়নের প্রশ্নে আগের সরকারের আমলে হওয়া সমস্ত সমঝোতা মেনে চলার পক্ষপাতী। সূত্রের মতে, বৈঠকে সেই বিষয়টির উপর জোর দেবে বিএসএফ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব আশা করে নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশ আগেই জানিয়েছিল, এ বারের সম্মেলনে ভিন্ন সুরে কথা বলবে বিজিবি প্রতিনিধি দল। ভিন্ন সুরের অর্থ কী তার ব্যাখ্যা না দিলেও, কূটনীতিকদের মতে এ যাত্রায় অন্তত ভারতের উপর চাপের রাজনীতি বজায় রেখে চলার পক্ষপাতী বাংলাদেশ। অন্য দিকে, স্বরাষ্ট্র সূত্রের মতে, গবাদি পশু, মানবপাচার, অস্ত্র-ওষুধের চোরাচালান রুখতে ভারত বদ্ধপরিকর। সেই কারণে সীমান্তে বেড়া লাগানো ও প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানোর মতো পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ভারত যে জোর দেবে, তা প্রতিবেশী দেশকে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)