(বাঁ দিকে) যোগী আদিত্যনাথ এবং অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কুম্ভ, তুমি কার! উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যখন কুম্ভ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারের আলো শুষে নিতে তৎপর, তখন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহের বক্তব্য, কুম্ভ তো সনাতন। তা সকলের।
এ বারের মহাকুম্ভের যাবতীয় কৃতিত্ব গোড়া থেকেই একক ভাবে নিতে চেয়েছেন যোগী। লক্ষ্য, সফল ভাবে কুম্ভের আয়োজন করে হিন্দু সমাজের প্রধান মুখ হয়ে ওঠা, যাতে ২০২৯ সালে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে শীর্ষ সারিতে থাকতে পারেন তিনি। সূত্রের মতে, সেই কারণে গোড়া থেকেই কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কুম্ভের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি যোগী। এমনকি আজ দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কুম্ভের আয়োজনকে সামনে রেখেই তিনি অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ-কে আক্রমণ শানিয়েছেন। গত কাল নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে প্রয়াগরাজের সঙ্গমে ডুব দেন যোগী। আজ তাঁর চ্যালেঞ্জ, “অরবিন্দ কেজরীওয়াল দিল্লির যমুনায় কি স্নান করতে পারবেন? যমুনার যা দূষিত অবস্থা, এখানে মনে হয় পারবেন না।”
কুম্ভকে হাতিয়ার করে যোগী যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর, তখন আজ কুম্ভের মাহাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে আধ্যাত্মিকতার সাহায্য নেন শাহ। রাজনীতিকদের মতে, কুম্ভ আয়োজনে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সাফল্যের তত্ত্ব নস্যাৎ করতে চেয়েছেন পরের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যোগীর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অমিত। আজ গুজরাতের আমদাবাদে হিন্দু আধ্যাত্মিক ও সেবা মেলার উদ্বোধনে গিয়ে কুম্ভমেলা প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “বাধাহীন ভাবে হাজার বছর ধরে কুম্ভমেলা হয়ে চলেছে। মহাকুম্ভের আয়োজন কখনওই সরকারের উপরে নির্ভরশীল নয়। এখানে অসংখ্য ধর্মীয় সংস্থাও অংশ নিয়ে থাকে। শত-সহস্র মানুষ এই মেলায় যুগ যুগ ধরে আসছেন। মোগল, ব্রিটিশ আমলে কিংবা কংগ্রেসের সময়েও ওই মেলা বন্ধ হয়নি।” বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহ বোঝাতে চেয়েছেন, কুম্ভমেলার সফল আয়োজনের নেপথ্যে রয়েছে সমন্বয়। এই সাফল্য ব্যক্তি বা সরকারের নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy