ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
আগামী ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বেঞ্চে রয়েছে রাজ্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এক, আর জি কর মামলা। দুই, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে প্রায় ২৫ হাজার স্কুল শিক্ষক ও কর্মচারীর চাকরি বাতিলের মামলা। তিন, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে ২০১০ সালের পরে রাজ্যের দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার মামলা।
সুপ্রিম কোর্টের পোর্টাল অনুযায়ী, এর মধ্যে ওবিসি সংক্রান্ত মামলা আর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই মামলার পরবর্তী সম্ভাব্য শুনানি ২৬ নভেম্বর। তবে এসএসসি মামলার শুনানি ৫ নভেম্বর হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টের পোর্টাল জানাচ্ছে। ওই একই দিনে বেলা তিনটেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আর জি কর মামলার শুনানিও নির্ধারিত রয়েছে।
এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে দীপাবলির ছুটি থাকবে। আদালত খুলবে ৫ নভেম্বর। সেই হিসেবে প্রধান বিচারপতি আর মাত্র পাঁচ দিন এজলাসে বসবেন। সোমবার, ৫ নভেম্বর থেকে শুক্রবার, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই দিনই তাঁর কাজের শেষ দিন। ১০ নভেম্বর তিনি অবসর নেবেন। আইনজীবীরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে সম্ভবত ৫ নভেম্বরই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আর জি কর মামলার শেষ শুনানি হবে। ওই দিন তিনি ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার রাস্তা খুঁজতে তৈরি জাতীয় টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টও দেখতে চেয়েছেন। আইনজীবীদের মতে, বর্তমান প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওবিসি মামলার আর শুনানি হওয়া কঠিন। ২০১০ সালের পরে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসনের কাছে চিন্তার কারণ হল, হাই কোর্টের সেই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেনি। অগস্ট মাসের পরে এই মামলার সে ভাবে শুনানিও হয়নি।
তুলনায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের চিন্তা কম। কারণ এপ্রিল মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের প্রায় ২৫ হাজার স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মে মাসেই চাকরি বাতিল ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে গত দু’মাসে এই মামলারও সেই ভাবে শুনানি হয়নি। গত সপ্তাহে একাধিক বার তা শুনানির তালিকায় এলেও শেষ পর্যন্ত সময়ের অভাবে শুনানি হয়নি। ৫ নভেম্বর শুনানি না হলে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আর শুনানি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy