এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার এবং রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকের আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে শরদ পওয়ার, রাহুল গান্ধী ও শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত নৈশভোজে মিলিত হতে পারেন। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের জোট সরকার চলছে। সেই জোটের শরিক দলের নেতাদেরই আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে নৈশভোজে মিলিত হওয়ার কথা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ওই নৈশভোজে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মেই জাতীয় রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠে আসবে। কারণ তিন দিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিরোধীশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাদের চিঠি লিখে সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ওই চিঠি পেয়েই শরদ পওয়ার তৃণমূল নেতাদের বার্তা দিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে এই বৈঠক হতে পারে। আজ দিল্লিতে পওয়ার বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে ‘বিষাক্ত পরিবেশ’ তৈরির অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে এককাট্টা হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। দু’দিন আগে এনসিপি-র যুব সংগঠন পওয়ারকে সনিয়া গান্ধীর বদলে ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন করার প্রস্তাব এনেছে।
শরদ পওয়ারের সঙ্গে বিরোধী রাজনীতির অন্যতম শক্তি হিসেবে আজ ডিএমকে-র প্রধান, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও মাঠে নেমেছেন। শনিবার দিল্লিতে ডিএমকে-র নতুন দলীয় দফতরের উদ্বোধন করবেন স্ট্যালিন। ডিএমকে নেতারা বলছেন, জাতীয় রাজনীতিতে ডিএমকে-র গুরুত্বেরই প্রতীক হবে এই দফতর। তার আগে স্ট্যালিন সংসদে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে প্রথম সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন। মোদীর কাছে তিনি শ্রীলঙ্কার তামিলদের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ হল, শুক্রবার স্ট্যালিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্ট্যালিনকে দিল্লির সরকারি স্কুল ও মহল্লা ক্লিনিক দেখাতে নিয়ে যাবেন কেজরী।
ডিএমকে-র দলীয় দফতরের উদ্বোধনে তৃণমূলের নেতারাও আমন্ত্রিত। মমতা আগেই স্ট্যালিনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্ট্যালিনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তিনি যেন সমস্ত অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন। ইয়েচুরির মতে, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে স্ট্যালিনই সবথেকে গ্রহণযোগ্য। তবে পরিস্থিতি তৈরি হলে অতীতের মতোই লোকসভা নির্বাচনের পরে বিরোধী জোট তৈরি ও তার নেতা নির্বাচিত হবে বলে ইয়েচুরির মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy