—প্রতীকী ছবি।
একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ আছে। ওই প্রকল্পের অডিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। এ বার ‘অডিট জল্পনা’ শুরু হয়েছে স্বচ্ছ ভারত মিশন নিয়েও। প্রশাসনিক মহলের খবর, স্বচ্ছ ভারত মিশনে কি এবার কেন্দ্রীয় নজরদারি বাড়তে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এ-ও অনুমান করা হচ্ছে যে ওই প্রকল্পেও এ বার অডিট করাতে পারে কেন্দ্র। তাই ওই প্রকল্পের বরাদ্দ খরচে জোর পড়েছে।
সূত্রের দাবি, চলতি আর্থিক বছরে (২০২৩-২৪) প্রকল্পের বরাদ্দ হিসাবে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৯২ কোটি (৬০ শতাংশের হিসাবে) দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ১২৮ কোটি টাকা রাজ্যের। ফলে খরচের বিষয়টিকেও সেই কারণে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। সূত্রের দাবি, এই গোটা কাজ শেষ করতে কালবিলম্ব আর না করে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্নের শীর্ষমহল। তবে পর্যবেক্ষক শিবিরের বক্তব্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো গড়ার কাজে গতি বাড়ানোর সঙ্গে অভিনব চিন্তাভাবনার মিশেল না ঘটালে বরাদ্দ আসার সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য রাখা বেশ কঠিন।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করা। সেই কাজে জাতীয় স্তরে এ রাজ্যের অবস্থান ভাল হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রাজ্যে অবস্থান জাতীয় স্তরে বেশ পিছিয়ে। তার মধ্যে রাজ্যের অবস্থান সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। আবার পরিচ্ছন্ন গ্রামের প্রশ্নেও জাতীয় স্তরে রাজ্যের অবস্থান খুব একটা মজবুত নয়। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বরাদ্দের নিরিখে অগ্রগতি যা থাকার কথা ছিল, তা না থাকাতেই উদ্বেগ বাড়ছে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রাজ্য সরকারের যা তথ্য, তাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৬৮৩ কোটি টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা খরচ করা যায়নি। এই অবস্থায় সেই খরচের উপরেই বাড়তি জোর দিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত বছরেই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি এবং পানীয় জল ও স্বচ্ছতা দফতরের সচিব বিনি মহাজন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ এলাকায় প্রকাশ্যে মলত্যাগ মুক্ত পরিবেশ (ওডিএফ) গড়ে তুলতে ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সমান্তরালে কঠিন, তরল এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ অন্তর্ভুক্ত হয় প্রকল্পে। এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ বা ‘ওডিএফ-প্লাস’ শুরু করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে গ্রামগুলিতে কঠিন অথবা তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন, সেগুলিকে ‘ওডিএফ-প্লাস অ্যাসপায়ারিং’-এর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আবার যে গ্রামগুলিতে দু’টি পরিকাঠামোরই প্রয়োজন, সেগুলিকে রাখা হয়েছে ‘ওডিএফ-প্লাস রাইজ়িং’-এর তালিকায়। যে গ্রামগুলিতে দুই ব্যবস্থার সঙ্গে দৃশ্যত ৮০ শতাংশ স্বচ্ছতা দেখা গেলে সেগুলিকে ‘মডেল গ্রাম’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy