উৎসব: নাচে-গানে আদিবাসীরা। সনিয়ার বাসভবনের বাইরে। ছবি: পিটিআই।
সকাল থেকেই দশ জনপথে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড়। ঢাক-ঢোল, নাচ-গান, বিরাট ছবি-সহ ব্যানারে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সমর্থকদের উৎসাহ দেখে নিজেই ড্রাম বাজাতে শুরু করে দিলেন প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়ত। তিরঙ্গা যাত্রা করে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এলেন ইন্ডিয়া গেট থেকে।
রাহুল গাঁধীর হাতে কংগ্রেস সভাপতির পদ তুলে দেওয়ার সব ব্যবস্থা পাকা করে দিয়ে সনিয়া অবশ্য জন্মদিনে আজ অন্তরালেই রইলেন। সকাল থেকেই কংগ্রেসের নেতারা একে একে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে দশ জনপথে পৌঁছেছেন। কিন্তু একাত্তরে পা দেওয়া সনিয়া নিজে একবারেও প্রকাশ্যে আসেননি। জন্মদিন পালন করেছেন সংযত ভাবে।
গুজরাতে প্রচারের ফাঁকে রাহুল শুক্রবার রাতেই বডোদরা থেকে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন। মায়ের জন্মদিনটা তাঁর সঙ্গে কাটানোই ছিল উদ্দেশ্য। তবে সারা দিনটা মায়ের সঙ্গে কাটানো হয়নি। শনিবারও গুজরাতে চারটি জনসভা করার কথা আগে থেকেই ঠিক ছিল। তাই সকালেই ইন্ডিগোর বিমান ধরে ফের অমদাবাদ রওয়ানা হয়ে যান রাহুল। বিমানে ওঠার সময় সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই ব্যাগ কাঁধে তাঁর লাইনে দাঁড়ানো ছবি নিয়ে আজ দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা হয়েছে। কংগ্রেসের নেতারা বলেছেন, দেখুন, রাহুল কী ভাবে সাধারণ মানুষের মতোই থাকেন! কিন্তু এত সবের মধ্যেও সনিয়া এ দিন এক বারের জন্যও ক্যামেরায় ধরা দেননি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন সনিয়াকে টুইট-শুভেচ্ছায় তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করেছেন। দিনের শুরুতেই ছবি-সহ টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনমোহন সিংহ, গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খড়্গে, শীলা দীক্ষিত, ভূপেন্দ্রসিংহ হুডা, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জনার্দন দ্বিবেদী, অম্বিকা সোনির মতো কংগ্রেসের নবীন-প্রবীণ নেতারা একে একে দশ জনপথে গিয়ে সনিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy