Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

সংবিধান পাঠ করে রাজঘাটে সিএএ-প্রতিবাদ কংগ্রেসের

কংগ্রেসের দাবি, নয়া নাগরিকত্ব আইন বলবৎ হলে তাতে বৈষম্যের শিকার হবে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

রাজঘাটের ধর্নামঞ্চে সংবিধান পাঠ সনিয়ার। ছবি: এপি।

রাজঘাটের ধর্নামঞ্চে সংবিধান পাঠ সনিয়ার। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২৪
Share: Save:

উপলক্ষ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতায় সত্যাগ্রহ পালন। সেই কর্মসূচি পালনে সোমবার সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে নয়াদিল্লির রাজঘাটে ধর্নায় বসলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সনিয়ার আহ্বানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংবিধান পাঠের মাধ্যমে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করেন তাঁরা।

কংগ্রেসের দাবি, নয়া নাগরিকত্ব আইন বলবৎ হলে তাতে বৈষম্যের শিকার হবে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আঘাত নেমে আসবে সংবিধান বর্ণিত নাগরিকের মৌলিক অধিকারে। সেই সংবিধান রক্ষাতেই এ দিন রাজঘাটে ধর্নায় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, সনিয়া, প্রিয়ঙ্কা, রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতারা। এই অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। রাজঘাটে উপস্থিত ওই নেতারা সংবিধানের মৌলিক অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: অন্ধ্রে কোনও অবস্থাতেই এনআরসি করতে দেব না, ঘোষণা এ বার জগনের

আরও পড়ুন: এনআরসি: কে সত্যি মোদী না অমিত? ধন্দ ছড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই

রাজঘাটে কংগ্রেসের ধর্নায় শামিল হতে যুব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। ছবি: এএফপি।

সিএএ-র বিরুদ্ধে গত শুক্রবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তাতে এই আইনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দেন সনিয়া। এ দিনও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলা ৩টে থেকে রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের সূচনা করে কংগ্রেস। রাত ৮টা পর্যন্ত তা চলবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

এ দিন দুপুর থেকে রাজঘাটে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সমাধিস্থলে উপস্থিত হন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা-সহ কংগ্রেস নেতারা। কর্মসূচি শুরুর আগেই এ দিন দেশের যুবসমাজের প্রতি রাহুলের আহ্বান ছিল, ‘মোদী-শাহ ভারতের প্রতি যে ঘৃণা ও হিংসা বর্ষণ করছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজঘাটে আজ বেলা ৩টেয় জমায়েত হোন।’

রাহুলের মতোই টুইটারে প্রিয়ঙ্কার আহ্বান ছিল, ‘সংবিধান আমাদের শক্তি। বিভাজনের রাজনীতি থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। আসুন, সংবিধান পাঠে আমার সঙ্গে অংশ নিন।’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy