ছবি: পিটিআই।
সংসদে সাত নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতেন সনিয়া গাঁধী। এই গেটটি শুধু সনিয়া কিংবা রাহুল গাঁধীর জন্যই নির্ধারিত ছিল। অন্য কেউ আসা-যাওয়া করতেন না। রাহুল অবশ্য কখনও-সখনও অন্য গেট দিয়েও ঢুকে পড়তেন। গত অধিবেশন পর্যন্ত এটিই ছিল রোজের ছবি। বদলে গেল আজ।
সংসদের প্রধান গেট দিয়েই আজ প্রবেশ করলেন সনিয়া। বেরোলেনও সেখান দিয়ে। কারণ, দুই অধিবেশনের ফাঁকে সনিয়ার নিরাপত্তার ধরনও বদলে গিয়েছে। আগে ছিল এসিপিজি নিরাপত্তা। এখন সিআরপিএফ-এর। আগে সনিয়ার নিরাপত্তা যে আটোসাঁটো ছিল, এসপিজি-র নিজস্ব যে প্রোটোকল ছিল, এখন তা নেই। ফলে অন্য সাংসদদের মতো তাঁদের সঙ্গেই যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁকে। লোকসভায় কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিঁধতে গিয়ে সনিয়া-রাহুলদের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়েও আজ সরব হল কংগ্রেস। রাহুল না-থাকলেও বিক্ষোভের সময় ছিলেন সনিয়া।
সনিয়ার পাশে দাঁড়িয়েই লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে নিয়েছে এই সরকার। কেন? বিরোধী নেতাদের কেন অপমান করা হচ্ছে? কী অপরাধ আমাদের? গাঁধী পরিবারের নেতারা ভারতের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী প্রাণ দিয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী যতদিন বেঁচে ছিলেন, নিরাপত্তা পেয়েছেন। আমরা এই নিয়ে আলোচনা চাই।’’
আরও পড়ুন: শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সমীকরণ স্পষ্ট
স্পিকার ওম বিড়লা জানালেন, বিষয় উপদেষ্টা কমিটিতে আলোচনা করে সাংসদরা স্থির করুন, নিয়মের অধীনে কী কী নিয়ে আলোচনা করা যায়। কিন্তু বিজেপির কটাক্ষ এত ক্ষণ জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে গলা চড়াচ্ছিলেন অধীর। ফারুক আবদুল্লাকে কেন ছাড়া হয়নি, তা নিয়ে সরব হচ্ছিলেন। দাবি করছিলেন, কাশ্মীরে অপারেশন সফল, কিন্তু রোগী মৃত। গোটা একটা ঘণ্টা সংসদ অচল করার চেষ্টা হয়েছে। পরে কক্ষত্যাগও করেছে কংগ্রেস। কিন্তু তার আগে এসপিজি নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে তারা বুঝিয়ে দিল, তাদের কাছে আসল বিষয় হল গাঁধী পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy