ছবি: পিটিআই।
অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বরাকে সরানোর দাবিতে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি পাঠালেন রাজ্য কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী।
তাঁরা ২০০২ সালে ড্যানিয়েল টপনো হত্যাকাণ্ডে রিপুনের নাম জড়ানোর ঘটনাকে তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, ওই মামলা এখনও গৌহাটি হাইকোর্টে ঝুলছে। ওই গোষ্ঠীর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই বলে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যে হলফনামা দিয়েছেন রিপুন। চিঠিতে তাঁর অযোগ্য নেতৃত্বের কথাও বলা হয়েছে। রিপুনের বক্তব্য, “ওই ঘটনা আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত ছিল। নিম্ন আদালত ২০১৪ সালে আমায় দোষমুক্ত ঘোষণা করে। এরপর সিবিআই হাইকোর্টে রুটিনমাফিক রিভিউ পিটিশন জমা দেয়। এপ্রিলে তার শুনানি আছে। আশা করি সেখানেও আমি নির্দোশ প্রমাণিত হব।"
ঘুষ নেওয়ার একটি ঘটনাতেও সিবিআই বরাকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলা থেকেও ছাড়া পেয়েছেন রিপুন। স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পি চিদম্বরম, শশী তরুর, ডি কে শিবকুমারদের মতো অনেকের বিরুদ্ধেই আলাদতে মামলা চলছে। শিবকুমার কর ফাঁকির দায়ে জেল খাটার পরেও সম্প্রতি কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন।“ রিপুনের অভিযোগ, গত চার বছর ধরেই রাজ্য কংগ্রেসের কিছু নেতা তাঁকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, "মনে রাখতে হবে, ২০১৬ সালে বিধানসভায় হারার পরেও আমরা তিনটি লোকসভা আসন ধরে রেখেছি। কংগ্রেসের ভোট ২৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটেও কংগ্রেস প্রায় ৫০ শতাংশ আসনে জিতেছে। আমি অযোগ্য হলে এই ফল আসত না।" তাঁর অভিযোগ, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে দুর্বল করা ও বিজেপিকে শক্তিশালী করার চক্রান্ত চালাচ্ছে ওই গোষ্ঠী। বরা জানান, ওই চিঠির বিষয় নিয়ে এআইসিসি তদন্ত করবে। কারণ চিঠিতে সই থাকা চারজন ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তাঁদের সই জাল করা হয়েছে। তেমন হলে বাকিদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও প্রতারণার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy