সংসদে সনিয়া গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন সনিয়া গান্ধী, কংগ্রেসের একটি সূত্র মারফত মঙ্গলবারেই এমন জানা গিয়েছিল। সেই মতোই বুধবার এই সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে বিলটিতে সমর্থন জানালেন তিনি। বিলটি কবে কার্যকর করা হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সনিয়া। পাশাপাশি, জাতগণনার দাবি তুলে অস্বস্তিতে ফেলতে চেয়েছেন কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে।
পুর প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতে নারীদের বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণের নেপথ্যে তাঁর স্বামী, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন সনিয়া। রাজীবের শাসনকালে স্থানীয় প্রশাসনে মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত বিলটি সাত ভোটে খারিজ হয়ে যায়। পরে যদিও কংগ্রেসের আর এক প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের আমলে বিলটি দিনের আলো দেখে। তবে এর কৃতিত্ব রাজীবকে দিয়ে বুধবার সনিয়া বলেন, “সারা দেশে এখন স্থানীয় প্রশাসনে ১৫ লক্ষ নির্বাচিত মহিলা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন অর্ধেক পূরণ হয়েছিল। এই বিল সংসদে পাশ করানো হলে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।”
বিলে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের প্রধান সনিয়া বলেন, “ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের তরফে আমি নারী সংরক্ষণ বিল (নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম ২০২৩)-কে সমর্থন জানাচ্ছি।” বিলটি পাশ করানো হলেও কবে কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রকাশিত খবরে দাবি, ২০২৭ সালের আদমসুমারি প্রক্রিয়ার পরেই বিল কার্যকরের কথা বিলের প্রস্তাব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিল ২০২৯ সালের আগে কার্যকরের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এই বিল মোদী সরকারের নির্বাচনী চমক ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আদমশুমারি এবং আসন পুনর্বিন্যাস, কোনওটাই হবে না।’’ সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়ে সনিয়া বলেন, “মহিলাদের ১৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন তাঁদের আরও কিছু বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে। আর কত বছর? ভারতীয় নারীদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা কি যথাযথ হচ্ছে?”
দলের তরফে এই বিল দ্রুত কার্যকর করার দাবি তোলার পাশাপাশি, জাতগণনারও দাবি তুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। সংরক্ষণের আওতায় তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি)-র পাশাপাশি, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (ওবিসি)-এর মহিলাদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন সনিয়া। বিজেপি সূত্রে খবর, মহিলা এবং ওবিসি ভোটকে পাখির চোখ করেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নামতে চলেছে তারা। এ দিকে জাতগণনার দাবিতে সরব হয়েছে আরজেডি এবং জেডি (ইউ)-এর মতো দলগুলিও। বিরোধীদের একটি অংশ মনে করছে জনসংখ্যার অনুপাতে ওবিসিদের সংরক্ষণের পরিমাণ কম, নতুন আদমশুমারিতে তা প্রমাণিত হলে অস্বস্তি বাড়বে বিজেপির। বিরোধীদের মোকাবিলায়, এ বার শিক্ষা, চাকরির পাশাপাশি, আইনসভাতেও ওবিসি সংরক্ষণের বিল আনতে পারে মোদী সরকার। তার আগে মহিলা সংরক্ষণে কংগ্রেসের আন্তরিকতা এবং উদ্যোগের দিকটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতগণনার দাবিও তুলে রাখলেন সনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy