Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Congress

দল সামলাতে বিজেপিকে আক্রমণই কৌশল সনিয়ার

ছত্তীসগঢ়ের নতুন বিধানসভা নির্মাণ উপলক্ষে সনিয়া বলেন, বর্তমান সময়ে বিভাজনকারী শক্তিরা গোটা দেশ জুড়ে হিংসা ছড়াতে চাইছে।

সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২০ ০২:২৭
Share: Save:

কংগ্রেসে নজিরবিহীন ভাবে প্রশ্নের মুখে গাঁধী পরিবারের কর্তৃত্ব। গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে ফাটল ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। এই সঙ্কট থেকে নজর ঘোরাতে প্রথমে জেইই-নিট পরীক্ষা নিয়ে বিরোধী জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। আর আজ গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ তুলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। অনেকেই মনে করছেন, আক্রমণ শানিয়ে সনিয়া কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের এই বার্তাই দিতে চাইলেন যে, অন্তর্দ্বন্দ্বের সময় এটা নয়। বিজেপির মোকাবিলাই দলের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আজ ছত্তীসগঢ়ের নতুন বিধানসভা নির্মাণ উপলক্ষে সনিয়া বলেন, বর্তমান সময়ে বিভাজনকারী শক্তিরা গোটা দেশ জুড়ে হিংসা ছড়াতে চাইছে। মতপ্রকাশের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে দেশের মানুষ। শাসক শিবিরের লক্ষ্যই হল, সবার মুখ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদের স্বরকে আটকানো। সনিয়ার কথায়, দেশ এমন একটি সঙ্কটময় সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা সংবিধানের রচয়িতারা ভাবতেও পারেননি।

কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্ব অবশ্য এ দিনও ধামাচাপা পড়েনি। সাংগঠনিক নির্বাচন দাবি করে চিঠি লেখা বিক্ষুব্ধ নেতাদের আক্রমণ-পর্ব চলছেই। আজও নিশানায় ছিলেন জিতিন প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এআইসিসি-কে চিঠি লিখেছেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের। চিঠি লেখাকে ঘিরে এই বিবাদ শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, মহারাষ্ট্র, কেরল, মধ্যপ্রদেশেও দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: যাচ্ছে চিন-পাকিস্তান, রাশিয়ায় যৌথ সামরিক মহড়ায় যোগ দেবে না ভারত

এই পরিস্থিতি যাতে ভাঙন ডেকে না-আনে সে জন্য দলকে বার্তা দিতে ছত্তীসগঢ়ের নতুন বিধানসভা নির্মাণের মঞ্চকে বেছে নেন সনিয়া। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষ ক্ষমতায় থেকে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। তাদের কারণে বাক্-স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে, ধ্বংসের মুখে গণতন্ত্র। সরাসরি বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীর নাম করেননি সনিয়া। কিন্তু শাসক শিবিরের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “ওরা চায় এ দেশের মানুষ, জনজাতি, মহিলা, যুবরা যেন নিজেদের মুখ বন্ধ রাখে।” সনিয়ার অভিযোগ, দেশে ক্রমশ একনায়কতন্ত্রের প্রভাব বাড়ছে। যা ঢেকে ফেলছে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে।

দু’বছর পরেই স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সনিয়া বলেন, “মহাত্মা গাঁধী, জহওরলাল নেহরু, অম্বেডকর কেউ কল্পনা করতে পারেননি, স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মাথায় দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান বিপদের মুখে পড়বে।” গত ছয় বছরে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সনিয়ার বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়ে ছত্তীসগঢ়ের বিরোধী বিজেপি নেতা ধর্মলাল কৌশিক বলেন, “যে দল দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, বাক্-স্বাধীনতার কথা তাদের মুখে মানায় না। দেশের মানুষ জানেন শিখ-বিরোধী দাঙ্গার পিছনে কাদের উস্কানি ছিল এবং কারা সে সময়ে ঘৃণা ছড়িয়েছিল।”

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Sonia Gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy