ফাইল চিত্র।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। কয়েক দিনের মধ্যে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নীতীশ কুমারও। সেই সময়ে মহাজোটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
গত কাল জোটসঙ্গী তেজস্বী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেছিলেন নীতীশকে। আজ নীতীশের মহাজোটে শামিল হওয়াকে সময়োচিত এবং বিজেপির গালে চড় বলে উল্লেখ করেছেন তেজস্বী।
আজ সনিয়ার সঙ্গে তেজস্বীর বৈঠকে বিহারের মন্ত্রিসভা এবং সরকারের কার্যপদ্ধতি নিয়ে কথা হয়েছে। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রাক্কালে বিহারে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ভক্তচরণ দাস আজ বলেছেন, ‘‘সরকার ও বিভিন্ন দফতরের কাজে সমস্ত শরিক দলেরই অংশীদারি থাকা উচিত। এখানে যেন বিধায়ক সংখ্যা প্রাধান্যনা-পায়।’’ এ দিকে মন্ত্রিসভা গঠনের আগে হাই কমান্ডের কাছে নিজেদের জন্য দরবার করতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বিহারের বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক।
সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরে তেজস্বী ফের নিশানা করেছেন বিজেপিকে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে ভয় দেখিয়ে কিংবা অর্থ দিয়ে কিনে নিতে চাইছে। বিজেপি অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে, যুব সমাজকে চাকরি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তেজস্বী দিয়েছিলেন, তা পালন করতে পারবেন কি? প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তেজস্বীর পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপি যে মেরুকরণের রাজনীতি থেকে সরে এসে মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হয়েছে, এটাই তাঁদের সাফল্য।
নীতীশ যদিও একাধিক বার জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নেই। বিরোধী দলগুলির সেতুবন্ধনের কাজ করতে চান তিনি। তবে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিংহ। তাঁর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো সমস্ত গুণই রয়েছে নীতীশের। সঙ্গে জানিয়েছেন, বিহারে সরকারের কাজ কিছু গুছিয়ে নিলেই দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা হবে।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেও প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নীতীশ। বলেন, ‘‘২০১৪-য় জিতেছেন। ২০২৪-এ পারবেন কি?’’ এনডিএ শিবির ত্যাগের প্রসঙ্গে নীতীশ জানিয়েছেন, মানুষের চাহিদা মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিহারের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব না থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন নীতীশ। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন, জেডিইউ থেকে অন্তত চার জনের মন্ত্রিসভায় থাকা উচিত। কিন্তু তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ নীতীশের।
বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থপূরণে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার। এই প্রসঙ্গে নীতীশ জানান, কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করা হলে জনতাই তার যথার্থ উত্তর দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy