Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চিদম্বরমকে দেখতে তিহাড়ে সনিয়া-মনমোহন

তিহাড় জেলে সনিয়া ও মনমোহনের যাওয়া যেমন বেনজির ঘটনা, রাতে চিদম্বরমের সমর্থনে মনমোহনের বিবৃতি জারিও তেমনই বিরল।

পি চিদম্বরম।

পি চিদম্বরম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম গ্রেফতার হওয়ার পর সনিয়া গাঁধী জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস তাঁর (চিদম্বরম) পাশে রয়েছে। আজ সকালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে সঙ্গে নিয়ে তিহাড় জেলে গিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করলেন সনিয়া। পরে একটি বিবৃতি দিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থায় কখনও কোনও মন্ত্রী একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বড় জোর সুপারিশ করতে পারেন। তা বিস্তারিত ভাবে দেখে সিদ্ধান্ত
নেন আমলারাই।

তিহাড় জেলে সনিয়া ও মনমোহনের যাওয়া যেমন বেনজির ঘটনা, রাতে চিদম্বরমের সমর্থনে মনমোহনের বিবৃতি জারিও তেমনই বিরল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘পি চিদম্বরমকে হেফাজতে রাখায় উদ্বিগ্ন। সরকারি ব্যবস্থায় কোনও সিদ্ধান্ত একজন ব্যক্তি নেন না। সামগ্রিক সিদ্ধান্ত হয়, ফাইলে লিপিবদ্ধ থাকে।’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ছ’জন সচিব-সহ এক ডজন অফিসার প্রস্তাবের সুপারিশ করার পর মন্ত্রী হিসেবে চিদম্বরম মঞ্জুর করেছিলেন। যদি সেই অফিসারদের ভুল না থাকে, তা হলে সর্বসম্মতির সুপারিশে মঞ্জুরি দেওয়া ব্যক্তির অপরাধ হয় কী করে? শুধু মন্ত্রীকে দায়ী করলে ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’’

তিহাড় জেলে গিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সনিয়া এবং মনমোহন। উপস্থিত ছিলেন চিদম্বরমের সাংসদ-পুত্র কার্তি। পরে তিনি বলেন, ‘‘দু’জনেই বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ও সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা করেছেন।’’ পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে চিদম্বরমের টুইট, ‘‘সনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহ দেখা করতে আসায় সম্মানিত বোধ করছি।’’

সনিয়া-মনমোহনের তিহাড়ে যাওয়া সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার বলেন, ‘‘কোনও বাধ্যবাধকতা হবে অথবা ওঁরা ভয় পাচ্ছেন চিদম্বরম কোনও গোপন বিষয় না-ফাঁস
করে দেন!’’

দিল্লি হাইকোর্টে আজ সিবিআই বলেছে, চিদম্বরমকে জামিন দিলে তিনি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সেই সুযোগের জন্য সমন এড়াচ্ছিলেন। এফআইপিবি সদস্যদের সই থাকলেও চিদম্বরমই ‘নাটের গুরু’। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, তিনি (চিদম্বরম) সংসদের সদস্য। লুক আউট নোটিস আছে। দেশ ছেড়ে পালানোর প্রশ্নই নেই। সব নথি সিবিআইয়ের কাছে। প্রভাব খাটানো, বিকৃত করারও সুযোগ নেই। সিবিআই লেটারগেটরি পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশে তথ্যও চেয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করাও সম্ভব নয়। সিব্বলের যুক্তি, ‘‘অর্থমন্ত্রকের পাঁচ অফিসারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআরও নেই। কাউকে ঠকানো হয়নি, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিবৃতির বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। আইএনএক্স যে ৩০৫ কোটি টাকা নিয়ে আসে, সেটি লগ্নির ছাড়পত্রের সীমার মধ্যেই। এতে মানুষের আস্থা ভঙ্গের প্রশ্ন নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

P Chidambaram Sonia Ganhdi Manmohan Singh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy