কৃষকদের প্রতিবাদ। ফাইল ছবি।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চাষিদের দিল্লি অবরোধের সমাধানসূত্র মঙ্গলবারের বৈঠকেই মিলবে বলে আশাবাদী মোদী সরকারের একাংশ। যদিও ওই আইন প্রত্যাহার-সহ নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা।
রবিবার কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরীর দাবি, ২৯ ডিসেম্বরের (মঙ্গলবার) বৈঠকে বিবাদের নিষ্পত্তি হবে। কারণ, কৃষকদের প্রেক্ষিত থেকেই আলোচনা হবে। যারা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়। শনিবার কৃষক সংগঠনগুলি কেন্দ্রকে জানিয়েছিল যে, মঙ্গলবার আলোচনায় বসতে তারা রাজি। কিন্তু তেমনই আলোচ্যসূচিও বেঁধে দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। দাবি, চারটি বিষয়ে কথা বলতে হবে। তিন কৃষি আইনের প্রত্যাহার, ফসলের এমএসপির আইনি গ্যারান্টি, খড় পোড়ানোর অপরাধে কড়া শাস্তির আইন সংশোধন এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল প্রত্যাহার।
তবে মন্ত্রকের দিক থেকে এ বিষয়ে কৃষক সংগঠনগুলিকে কিছু জানানো হয়নি। বেঁধে দেওয়া আলোচ্যসূচি সরকার মেনে নিচ্ছে, এমন ইঙ্গিত এখনও নেই। বরং রবিবার ফের কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের আর্জি, আইনে উপকার হচ্ছে কি না, তা অন্তত দু’বছর দেখা হোক। সঙ্গে হুঙ্কার, চুক্তি-চাষের সুযোগে চাষিদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
আরও খবর: ভিন ধর্মে বিয়েতে বাধা, পুলিশের ভয়ে উত্তরপ্রদেশ ছাড়ল যুগলরা
আরও খবর: সোমবার ক্রিকেট মাঠে একই মঞ্চে থাকতে পারেন দাদা আর অমিত শাহ
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা এ দিন তুলে ধরেছেন ২০১৫ সালে লোকসভায় রাহুল গাঁধীর বক্তৃতা। যেখানে আলুচাষিরা যাতে সরাসরি চিপস প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে আলু বেচতে পারেন, তার জন্য সওয়াল করছেন রাহুল। নড্ডার প্রশ্ন, ‘‘রাহুলজি, এ কেমন জাদু? আগে যার ওকালতি করছিলেন, এখন তারই বিরোধিতা করছেন!’’ সরাসরি ফসল বিক্রি নিয়ে রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের বৈঠকের ভিডিয়োও প্রচার করছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘‘নড্ডাজির জানা উচিত, আলুর এমএসপি হয় না।’’
বিরোধীদের দাবি, সরকার রাজনীতি না-করে প্রবল শীতে রাস্তায় বসে থাকা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন নিষ্পত্তির চেষ্টা করুক। এমনিতেই দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। তার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। কৃষক নেতারা অবশ্য অনড়। তাঁরা দিল্লির সকলকে ১ জানুয়ারি সিংঘু-টিকরি সীমানায় চাষিদের সঙ্গে কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, ওই দিন সিংঘু সীমানা থেকে টিকরি হয়ে শাহজাহানপুর সীমানা পর্যন্ত কুন্ডলী-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ট্র্যাক্টর মিছিল হবে। ২৯ ডিসেম্বর পটনা ও থাঞ্জাভুর, ৩০ ডিসেম্বর মণিপুর, হায়দরাবাদে প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবে আরও জোরদার হয়েছে বিজেপি নেতাদের ঘেরাও। পঞ্জাবের বিজেপি নেতা হরজিৎ গ্রেওয়ালের অভিযোগ, পঞ্জাব পুলিশ কৃষকদের মদত দিচ্ছে।
গুরু গোবিন্দ সিংহের পুত্রের শহিদ দিবসে ‘মন কি বাত’-এ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। লখনউয়ে বাসভবনে গুরুবাণী কীর্তনের আয়োজন করেন যোগী আদিত্যনাথ। সন্ধ্যায় অরবিন্দ কেজরীবাল সিংঘুর গুরু তেগ বাহাদুর মেমোরিয়ালে যান। কেজরীর চ্যালেঞ্জ, ‘‘যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কৃষকদের সঙ্গে বিতর্কে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy