সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে ইতিবাচক বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে সাবেক রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে মামলায় আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূ়ড় বলেন, ‘‘একটি রাজ্যকে কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা যায়? একটি রাজ্য থেকে কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা যায়?’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি বদলানো প্রয়োজন। জম্মু-কাশ্মীরে কখন ভোট করানো সম্ভব? কত দিনের মধ্যে আপনারা প্রকৃত গণতন্ত্র ফেরাতে পারবেন জানান?’’
জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আমরা ইতিবাচক বক্তব্য কোর্টে জানাব। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা চিরস্থায়ী নয়। তবে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই থাকবে।’’ এ বিষয়ে অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও ত্রিপুরার উদাহরণ দিয়েছেন মেহতা। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে স্থানীয় স্তরের নির্বাচন করানো থেকেই সরকারের সদিচ্ছার পরিচয় পাওয়া যায়। মেহতা বলেন, ‘‘সংসদেও এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। চেষ্টা চলছেই।’’
৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তথা বিশেষ মর্যাদা লোপের সঙ্গে সঙ্গেই লুপ্ত হয়েছে ৩৫এ ধারা। ওই ধারা অনুযায়ী, কেবল সাবেক জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই ওই রাজ্যে সরকারি চাকরি, জমি ও স্থায়ী ভাবে বসবাসের অধিকার পেতেন। গত কাল শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই ধারার ফলে সরকারি চাকরি, দেশের যে কোনও প্রান্তে বসবাস করার অধিকারের মতো সাংবিধানিক অধিকার লুপ্ত হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগেরও হস্তক্ষেপের সুযোগ ছিল না।’’
ঘটনাচক্রে এ দিনই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদকে মোদী সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই রাজ্যটিকে কৃত্রিম ভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। এই পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি সুফল আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy