ভারত-চিন সীমান্তে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় জওয়ানকে। ছবি: পিটিআই।
বরফের স্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। তুষারপাতের সময় গুহার মধ্যে কোনও রকমে আশ্রয় নিলেও তেমন লাভ হয়নি। বরফে গুহার মুখ ঢেকে গিয়েছিল। তিন দিন সেখানেই আটকে ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও এক জন আটকে ছিলেন বরফে। দু’জনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) সদস্য অনিল রাম। বিহারের বক্সারের বাসিন্দা তিনি। উত্তরাখণ্ডে ভারত-চিন সীমান্ত পাহারা দেওয়ার ভার পড়েছিল তাঁর উপর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভারবাহক দেবেন্দ্র সিংহ। উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারি থেকে মিলাম পর্যন্ত টহল দিচ্ছিলেন অনিল। আচমকা তুষারপাত শুরু হয়। বরফের হাত থেকে বাঁচার জন্য সাময়িক ভাবে তাঁরা একটি গুহায় ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তুষারপাত চলতেই থাকে। পুরু তুষারের আস্তরণ পড়ে যায় চারদিকে। গুহার মুখও বন্ধ হয়ে যায়।
মুন্সিয়ারি থেকে প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দূরে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন অনিল এবং দেবেন্দ্র। এক দিন পর তাঁদের খোঁজ শুরু হয়। বরফ সরিয়ে সরিয়ে জওয়ান-সহ দু’জনকে খুঁজছিল উদ্ধারকারী দল। তিন দিন পর তাঁদের খোঁজ মেলে। গুহার মুখ থেকে বরফ সরিয়ে দু’জনকে বার করে আনা হয়। উত্তরাখণ্ডের হাসপাতালে অনিল চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অনিলের উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে তাঁর পরিবারেও। তাঁর সঙ্গী দেবেন্দ্রের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে খবর।
উত্তরাখণ্ডের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রেষ্ঠ গুনসোলা জানিয়েছেন, অনিল এবং দেবেন্দ্র, দু’জনেই সুস্থ আছেন। চার ফুট পুরু বরফ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy