—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক প্রকাণ্ড সৌরঝড় ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। সতর্কবার্তা জারি করেছেন সৌরবিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়েই এর প্রভাব পড়তে পারে। বিঘ্ন ঘটতে পারে বৈদ্যুতিন যোগাযোগ ব্যবস্থায়। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি তাঁরা।
আচমকা সূর্যের বুকে বিস্ফোরণ এবং তার পরে আয়নিত কণার স্রোত, প্রবল শক্তি-সহ ছড়িয়ে পড়ে সৌরসংসারে। এই হল সৌরঝড়। এর জেরে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। চার্জড পার্টিকল বা আয়নিত কণার ঝড়ের মুখে পড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, এ দেশের কৃত্রিম উপগ্রহগুলির অপারেটরদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী কয়েকটা দিন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দিন কয়েকের মধ্যে আছড়ে পড়বে ঝড়।
‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স’-এর ডিরেক্টর অন্নপূর্ণি সুব্রহ্মণ্যন বলেন, ‘‘মে মাসে একটা সৌরঝড় হয়েছিল। কয়েক দিন আগে সৌরশিখার যে তীব্রতা দেখা গিয়েছে, তা শক্তিতে গত বারের ওই সৌরঝড়ের সমতূল্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে এর প্রভাব পড়বে। আমরা অপেক্ষা করে দেখতে চাই। সূর্য থেকে পৃথিবীতে ওই সৌরঝড় পৌঁছতে কয়েক দিন সময় লাগবে। যদি কিছু করতে হয়, সেটা আজ বা কাল রাতে বোঝা যাবে।’’ কিন্তু পৃথিবীবাসীর জীবনে কি এর প্রভাব পড়বে? সুব্রহ্মণ্যনের কথায়, ‘‘কিছু হতে পারে। আবার কিছু না-ও হতে পারে। অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।’’
মে মাসে যে সৌরঝড়টি হয়েছিল, সেটি বেশ শক্তিশালী ছিল। এর জেরে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের আকাশ জুড়ে অরোরা তৈরি হয়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে ঝড়টি। রেডিয়ো ব্ল্যাকআউট ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। তবে তাতে বড়সড় ক্ষতি কিছু হয়নি। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডল ঝড়ের থেকে আড়াল করে রাখে পৃথিবীবাসীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy