Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CSIR

সিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা রামমন্দিরে

২০২৪ সালে রাম নবমীর দিন অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে কী ভাবে প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে, তা বিশ্লেষণ করেছে তারা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৫৮
Share: Save:

দেশে বিজ্ঞানচর্চার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ‘কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)। এ হেন প্রতিষ্ঠানের রামমন্দির নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্তম্ভিভ দেশের একাংশ। বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, জনগণের টাকায় চলা এই বিজ্ঞান-মন্দিরের কাজ কী এটাই!

আজ সিএসআইআর-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে রাম নবমীর দিন অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে কী ভাবে প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে, তা বিশ্লেষণ করেছে তারা। কাউন্সিল এ-ও জানিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি হাতেকলমে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছে সিএসআইআর-সিবিআরআই-এর বিজ্ঞানী দল।

সিএসআইআর-এর এই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী দফতর-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরকে ট্যাগ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে দেশের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, সিএসআইআর-সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রো কেমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ডিরেক্টর এন কালাইসেলভি এবং আরও অনেকের নাম। একটি টিভি চ্যানেলের ভিডিয়ো ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, মন্দিরের ট্রাস্টিদের সঙ্গে কথা বলছেন বিজ্ঞানী দল। ২০২৪ সালে রাম নবমীর দিন প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে, সেই বিষয়টি বুঝিয়ে, ব্যাখ্যা করে দিচ্ছেন তাঁরা।

একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৪২ সালে স্থাপন করা হয়েছিল সিএসআইআর। বিভিন্ন বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন, যেমন, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সমুদ্র বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যচর্চা, মেটালার্জি, রসায়ন, খনিবিদ্যা, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম, পরিবেশ বিজ্ঞান— এমন বিবিধ বিষয় নিয়ে কাজই এর লক্ষ্য। এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ। অতীতে কিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণাও হয়েছে সিএসআইএর-এর অধীনে। কিন্তু কাউন্সিলের শেষ টুইটটি ঘিরে বিতর্ক বেঁধেছে।

প্রশ্ন উঠছে, এটি কোন ধরনের বিজ্ঞান চর্চায় পড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মহুয়া মৈত্র টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু সিএসআইআর-এর বিজ্ঞানী। তিনি নেত্রীকে জানিয়েছেন, ওই মন্দির পরিদর্শনের ঘটনার পরে ভারতীয় বিজ্ঞানী মহলের অংশ হিসেবে তাঁর ‘লজ্জা’ লাগছে। মহুয়া আরও লিখেছেন, ‘‘জনগণের অর্থে চলা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম সিএসআইএর। আমাদের করের টাকা এ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে!’’

অন্য বিষয়গুলি:

CSIR Ram Mandir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy