এসএনইউ-এর সাফল্যের খতিয়ান
মাত্র পাঁচ বছরেরও কম সময়ে ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। আকর্ষণীয় ক্যাম্পাস, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দক্ষ ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা — এই সব কিছু এক সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরও ভাল মানের শিক্ষার পরিবেশ প্রদানে সহায়তা করেছে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার তাগিদ বাড়িয়েছে, উৎসাহ জুগিয়েছে। এই মহামারির সময়ে আমরা একত্রিত হয়ে এগিয়ে এসেছিলাম এবং অনলাইন শিক্ষাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলাম। যা আদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বারা অনলাইন শিক্ষার সঙ্গে ইতিমধ্যেই যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে। তবে যাই হোক কেন, আধুনিক যুগের শিক্ষার এই বড় দায়িত্ব দক্ষ নির্বাহকেরা নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়ার ফলশ্রুতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি বহুমাত্রিক মাত্রায় বিস্তৃত হয়েছে।
খতিয়ান বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নজরকাড়া কৃতিত্ব ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিগত শিক্ষাবর্ষে মহামারির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা দেশের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের তরফে স্বীকৃতি পেয়েছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের মুকুট কোন কোন পালকে সেজে উঠেছে।
২০২১ সালে এশিয়ান এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডসের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে "সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়"-এর তকমা দেওয়া হয়। জি ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে এসএনইউ পেয়েছে "পূর্ব ভারতের সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের" তকমা। এডুকেশন ওয়ার্ল্ড এই বিশ্ববিদ্যালয়কে "দেশের চতুর্থ এবং বাংলার ও কলকাতার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়"-এর স্থান দিয়েছে। নিউজ ১৮ বাংলার পক্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে "দ্য বেস্ট ইমার্জিং ইউনিভার্সিটির" তকমা। টিউটোপিয়া ও জি মিডিয়ার পক্ষ থেকে "পূর্ব ভারতের প্রিমিয়ার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির" তকমা পেয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
পুরস্কারের দরবারে পিছিয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, প্রফেসর (ডঃ) ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের জন্য এডুকেশন এক্সিলেন্স, ইইএ ২০২১-এর পক্ষ থেকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ "অ্যাকাডেমিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড" পেয়েছেন। যার হাত ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান অভিমুখে উন্নতি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রফেসর সুমন চট্টোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির স্বার্থে করা পদক্ষেপগুলির জন্য এশিয়া জিসিসি, এক্সিলেন্স অ্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডসের কর্তৃক "মোস্ট আইকনিক রেজিস্ট্রার" উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
২০২১ সালে উচ্চশিক্ষা পর্যালোচনার দ্বারা সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজমকে "ভারতের সেরা মিডিয়া স্কুল"-এর হৃদয়গ্রাহী তকমাটিও প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ফ্যাকাল্টিদের পুরস্কার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিত্বও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গণজ্ঞাপন বিভাগে নজরকাড়া সাফল্যের কারণে গ্লোবাল অ্যানুয়াল রিসার্চ অ্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ ভূষিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান ডঃ মৃণাল পারেখ। মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ডঃ রজত পালের ঝুলিতে এসেছে বেশ কয়েকটি পুরস্কার। এডুকেশন আইকন অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এর পক্ষ থেকে তাঁকে "বছরের সেরা জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক", ভারতীয় শিক্ষা পুরস্কার ২০২১-এর পক্ষ থেকে "ডায়নামিক টিচার অব দ্য ইয়ার" এবং এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এর পক্ষ থেকে "ইয়ং প্রফেসর অব দ্য ইয়ার" পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষিকা ডঃ আত্রেয়ী ঘোষ, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব এনভারোমেন্টাল রিলেশনশিপ অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটির পক্ষ থেকে পেয়েছেন "উইম্যান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড"। অন্যদিকে মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অন্য এক শিক্ষিকা ডঃ ফতেমা কলকাত্তাওয়ালাকে ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২১ পক্ষ থেকে "ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়েছে।
একটু একটু করে পথ চলতে শুরু করা, বয়সে তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এবং আমাদের সুদক্ষ ফ্যাকাল্টিদের সাফল্যের একটি সিরিজের সূচনা হিসেবে আমরা এই পুরস্কারগুলি থেকে আরও বিস্তৃত পথ চলার প্রেরণা গ্রহণ করছি। আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রত্যেক সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেক অনেক অভিনন্দন!
বিশদে জানতে ক্লিক করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy