ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে সিঙ্গল ইউজ বা এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা তা দিয়ে তৈরি সামগ্রী নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি, ৫০ মাইক্রনের বদলে ১২০ মাইক্রন ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যদিও চলতি বছর থেকেই দু’ধাপে এ ধরনের পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারের কথা বলেছে মন্ত্রক।
মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে এক বার ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক বা তা দিয়ে তৈরি কাপ-প্লেট, কাঁটা-চামচ, মিষ্টি বা সিগারেটের প্যাকেট ঘেরা অংশ-সহ পলিস্টাইরিন, এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টাইরিনের আমদানি, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় ও ব্যবহার— সমস্তই নিষিদ্ধ করা হল।
এই মুহূর্তে ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার এ দেশে নিষিদ্ধ। তবে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ মাইক্রন থেকে বাড়িয়ে পলিথিন ব্যাগের ঘনত্ব ৭৫ মাইক্রন করতে হবে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে সেই মাপকাঠিতেও বদল ঘটছে। ওই দিন থেকে ১২০ মাইক্রন ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ কোনও ভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেগুলির ক্ষেত্রে এই ঘনত্বের নিয়ম মান্য করার প্রয়োজন নেই। যদিও সে ধরনের প্লাস্টিকের উৎপাদন, বিপণন বা বিক্রির জন্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের শংসাপত্রের প্রয়োজন হবে।
দেদার প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে দেশ জুড়েই দূষণ বাড়ছে। প্লাস্টিক দূষণ রুখতে সরকারের তরফে উদ্যোগ, কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও তাতে বিশেষ কাজের কাজ হয়নি। পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশ জুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রই হয় না। ওই বর্জ্য পুড়িয়ে তা নষ্ট করতে গেলেও তাতে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। আবার প্লাস্টিক বর্জ্য জমেও তা পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। এমনকি, নদী বা সমুদ্র দূষণ বা নিকাশি ব্যবস্থা বুজিয়ে দেওয়ার পিছনেও রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy