ধর্মগ্রন্থ অবমাননার প্রতিবাদ সিংঘু সীমানায়। ছবি: রয়টার্স।
সিংঘু সীমানায় দলিত শ্রমিক লখবীর সিংহকে খুনের দায় স্বীকার করে শনিবার আত্মসমর্পণ করলেন এক শিখ যুবক। পুলিশ সূত্রের খবর, আত্মসমর্পণকারী যুবকের নাম সর্বজিৎ সিংহ। তিনি শিখদের নিহং গোষ্ঠীর একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশকে সর্বজিৎ জানিয়েছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করেছিলেন লখবীর। তাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে দিল্লি-হরিয়ানা সিংঘু সীমানার কুন্ডলী এলাকায় কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের অদূরে লখবীরের হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি পুলিশের ব্যারিকেডে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাটা হাতটি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দেহের পাশে। শিখদের নিহং গোষ্ঠীর নির্ভইর খালসা উডনা দলের নেতা বলবিন্দর সিংহ সংগঠনের তরফে খুনের দায় স্বীকার করে শুক্রবার জানান, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে লখবীরকে।
ওই খুনের একটি ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি)। ধর্মগ্রন্থ অবমাননার অভিযোগ ঘিরে সিংঘু সীমানায় উত্তেজনা থাকায় শনিবার সেখানে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কাজের সন্ধানে মাত্র ৫০ টাকা পকেটে নিয়ে পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার চিমা কালান গ্রাম থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন দলিত যুবক লখবীর। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন লখবীরের দিদি রাজ কৌর। তিনি বলেন, ‘‘ভাই শ্রমিকের কাজ করত। কিন্তু বেশ কিছু দিন কাজ পায়নি। তাই গত ৬ অক্টোবর আমার কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে চিমা কালান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে চব্বলে গিয়েছিল কাজের খোঁজে। তার পর থেকে ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগযোগ হয়নি।’’
রাজ জানিয়েছেন, ৩৫ বছরের লখবীরের স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। তিন সন্তানের বয়স, ৮, ১০ এবং ১২ বছর। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। লখবীরের শ্বশুর বলদেব সিংহ শনিবার বলেন, ‘‘লখবীর মাদকাসক্ত ছিল। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি হত। সে কারণেই মেয়ে আমার কাছে চলে এসেছিল।’’ ছোটবেলাতেই লখবীবের বাবা ও মা মারা গিয়েছিলেন। তার পর থেকে তিনি এই রাজ কাকা হরনাম সিংহের বাড়িতে মানুষ হন।
গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় লখবীর এমন কোনও আচরণ করে ফেলেছিলেন, যা দেখে হত্যাকারীদের মনে হয়েছিল তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীর সংগঠনের সঙ্গে ওই দলিত যুবকের কোনও যোগাযোগ ছিল না। লখবীর যে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন সিংঘু সীমানায় অবস্থানকারী কৃষক নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy