পড়ুয়াদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির সিদ্ধান্ত সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার থেকে পড়ুয়াদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঋতুচক্রের সময়ে প্রতি মাসে এক দিন করে ছুটি নিতে পারবেন ওই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এই মর্মে নতুন নীতি গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিন পনেরো আগে সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তরফে কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের ঋতুকালীন ছুটির বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এর পরেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের পদক্ষেপ নতুন নয়। এর আগেও ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক স্তরে ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে পৃথক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। কেরল সরকার গত বছরেই সে রাজ্যের সমস্ত সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি কেরলের আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে প্রতি মাসে দু’দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রীদের জন্য এই সুবিধা রয়েছে। সেখানে প্রতি মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারেন পডু়য়ারা। তবে প্রতি সেমেস্টারে সর্বাধিক চারটি ছুটি নেওয়া যায়। ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে ছাত্রীদের আরও বেশি করে সচেতন করতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের নোটিস বোর্ডে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দেয় পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ভাবে পড়ুয়াদের ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারি কোনও ঘোষিত নীতি কার্যকর হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্তরে এই ধরনের নীতি গৃহীত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও রাজ্য স্তরে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও ঘোষিত নীতি নেই। তবে সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষের মতে, পড়ুয়ারা চাইলে নিজেদের প্রয়োজন মতো এ ক্ষেত্রে ছুটি নিতেই পারেন।
পড়ুয়াদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। একটি জনস্বার্থ মামলা হয় এ বিষয়ে। গত মাসে কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, দেশের স্কুলছাত্রীদের জন্য ‘ঋতুকালীন স্বাস্থ্যনীতি’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাতে অনুমোদনও দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত বছরের এপ্রিলে এই নীতি প্রস্তুত করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার প্রেক্ষিতেই পড়ুয়াদের জন্য ‘ঋতুকালীন স্বাস্থ্যনীতি’ তৈরি হয়েছে। তবে ওই স্বাস্থ্যনীতিতে কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy