লরেন্স এবং মুসে ওয়ালা।
পঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালা খুনের মামলার অন্যতম চক্রী লরেন্স বিশনইকে বুধবার ভোররাতে কড়া নিরাপত্তায় দিল্লি থেকে পঞ্জাবে আনা হল। সকালে মানসার জেলা আদালতে তোলা হলে তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর পরেই খারারে ‘ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’-র দফতরে লরেন্সকে ম্যারাথন জেরা শুরু হয়েছে বলে পঞ্জাব পুলিশ সূত্রের খবর।
পঞ্জাব পুলিশের আবেদন মেনে মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত তিহাড় জেলে বন্দি লরেন্সকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে মানসা আদালতে পেশ করার অনুমতি দেয়। কুখ্যাত দুষ্কৃতী লরেন্সকে পঞ্জাবে আনার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সশস্ত্র পুলিশের ৫০ জন কমান্ডোর পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ির। প্রসঙ্গত, কানাডায় পলাতক গ্যাংস্টার সতীন্দ্র সিংহ ওরফে গোল্ডি ব্রারের ‘বার্তা’ পেয়েই মুসে ওয়ালাকে খুনের জন্য লরেন্স পরিকল্পনা করেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পঞ্জাব পুলিশ। রাস্তায় লরেন্সকে ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করেই এমন নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল পুলিশ সূত্রের খবর।
গত ২৯ মে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু। ওই খুনের তদন্তে নেমে পঞ্জাব পুলিশ লরেন্স গ্যাংয়ের সদস্য সন্তোষ যাদব, হরকমল রানু, কেশব এবং চেতনকে গ্রেফতার করেছে। খুনের দিন সন্দীপ সিংহ ওরফে কেকদার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কেশবকে। খুনের ঠিক আগেই পঞ্জাবি গায়কের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন সন্দীপ। আগেই সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিধুর বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় রেইকি চালাতে কেশবকে সাহায্য করেছিলেন সন্দীপ। প্রসঙ্গত, ঘটনার আগেই মুসে ওয়ালার নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছিল পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy