মুসে ওয়ালা হত্যাকাণ্ডে নাটকের পর নাটক! ফাইল ছবি।
পঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালার হত্যাকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্যের ঘনঘটা। তদন্তের জাল যখন প্রায় গুটিয়ে আনার দাবি করছে পুলিশ, ঠিক তখনই পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেলেন অন্যতম অভিযুক্ত দীপক ওরফে টিনু।
সূত্রের খবর, টিনুকে নিয়ে শনিবার রাত ১১টা নাগাদ যাচ্ছিলেন ‘সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (সিআইএ)-এর এক জন কর্মী। সেই সময় ওই কর্মীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান টিনু। তাঁর খোঁজ নতুন করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডান হাত বলে পরিচিত টিনু। এই লরেন্সই মুসে ওয়ালা খুনের মূলচক্রী বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের চার্জশিটে ‘শ্যুটার’ হিসেবে যে ১৫ জনের নাম আছে টিনু তাঁদের অন্যতম। টিনুর পালিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। অত রাতে কেন মাত্র এক জন তদন্তকারী টিনুর মতো কুখ্যাত অপরাধীকে নিয়ে যাবেন? কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তা হলে কি টিনুর পালিয়ে যাওয়ার চিত্রনাট্য আগেই তৈরি হয়েছিল?
গত ২০ মে, পঞ্জাবের মানসা জেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় মুসে ওয়ালাকে খুন করেন দুষ্কৃতীরা। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে শতাধিক গুলিবর্ষণ করা হয়। চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন মুসে ওয়ালা। তিনিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালিয়েছিলেন, কিন্তু শতাধিক গুলির সামনে কিছুই করতে পারেননি। গাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যান ওই গাড়িরই পিছনের সিটে বসা মুসেওয়ালার এক ভাই এবং এক বন্ধু।
ঘটনাচক্রে, পঞ্জাব সরকার এই ঘটনার এক দিন আগেই রাজ্যের শতাধিক মানুষের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার বা কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছিল। সেই তালিকায় ছিলেন মুসে ওয়ালাও। তদন্তে নেমে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে ছিলেন টিনুও। কিন্তু রহস্যজনক পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy