শুভেন্দু নাকি মনোজ? —ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা ঠিক করতে দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব বৈঠকে বসলেন। শনিবার রাতে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাড়িতে এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষও হাজির ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী।
বিধানসভায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠায় মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারীর মতো হেভিওয়েট নেতাদের কাউকেই বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় বারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও দৌড়ে রয়েছেন। দিলীপ ঘোষ সাংসদ হয়ে যাওয়ার পরে, গত বিধানসভায় বিজেপির তিন জন বিধায়কের দলেও মনোজ পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের এই বিধায়ক আরএসএস শিবিরের বলেই পরিচিত। শুভেন্দু খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন বলে তাঁর দিকে পাল্লা ভারি বলে অনেকে মনে করছিলেন। কিন্তু তৃণমূল থেকে সদ্য আসা শুভেন্দুর বদলে টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা করা হলে আদি-বিজেপি শিবিরে ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে অনেকের মত। বিরোধী দলনেতা নিয়ে বিধায়কদের মতামত জানতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদবকে পাঠানো হবে।
আজ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। তিনি হেস্টিংসে দিলীপ, শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। কৈলাস অবশ্য আজ নড্ডার বাড়িতে বৈঠকে ছিলেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, রাজ্যে মহিলাদের উপরে নির্যাতন, ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেই তরুণকে পাঠানো হয়েছে। কৈলাস বৈঠকের পর বলেন, ‘‘নড্ডাজি পশ্চিমবঙ্গে হিংসার সব তথ্য নথিবদ্ধ করতে বলেছেন। কেন্দ্র যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’
হারের কারণ আজ বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় ফের মন্তব্য করেছেন, মতাদর্শের সিমেন্টের বাঁধন না থাকলে একটা সংগঠন ডাকাত বা দাঙ্গাকারীর দল ছাড়া কিছু নয়। আজ নয় কাল তা ভেঙে পড়বেই। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে তথাগত নিজেই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছেন। প্রথমে তিনি নিজেই বলেছিলেন, তাঁকে নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডেকে পাঠিয়েছে। এখন আবার বলছেন, করোনা হয়েছে বলে যেতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy