বাবা সিদ্দিকি। (ইনসেটে) মুম্বইয়ের বান্দ্রায় খেরনগরের এই রাস্তায় সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হয়েছিল ৯.৯ এমএম পিস্তল দিয়ে। আর সেই পিস্তল অভিযুক্তের কাছে এসেছিল কুরিয়রের মাধ্যমে! সেই কুরিয়রের টাকাও মেটানো হয়েছিল আগে থেকেই। এমনটাই বলছে তদন্তকারীদের একটি সূত্র। সেই সূত্রের মাধ্যমেই জানা গিয়েছে, গণেশ পুজোর সময় সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রার খেরনগরে ছেলে জিশান সিদ্দিকির দফতরের সামনে গুলি করা হয়েছে সিদ্দিকিকে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৬ বছরের সিদ্দিকির উপর হামলা চালিয়েছিল তিন জন দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে এক জন ধরা পড়েছে। বাকি দু’জন অভিযুক্ত এখনও ফেরার। যে পিস্তল থেকে সিদ্দিকিকে গুলি ছোড়া হয়েছিল, সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এনসিপি নেতাকে লক্ষ্য করে মোট ছ’টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেই ছ’টি গুলির খোলও পেয়েছে পুলিশ। তিনটি গুলি লেগেছিল সিদ্দিকির শরীরে। বাকি একটি প্রবেশ করেছিল সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারীর শরীরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পঞ্জাবের জেলে থাকার সময় পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তিন দুষ্কৃতীর। ২ সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বইয়ে একটি ঘর ভাড়া করে ছিল তাঁরা। ঘরের ভাড়া ছিল ১৪ হাজার টাকা। সিদ্দিকিকে খুনের জন্য প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় ধৃতকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। এএনআই সূত্রে খবর, ধৃতের থেকে ২৮টি সক্রিয় কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, বড় কোনও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে অভিযুক্তদের। এ সবই এখন খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy