প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক, সম্পাদক, সংবাদকর্মী, অসাংবাদিক কর্মীরা। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে বা হাসপাতালে। তাতে সংবাদমাধ্যম বন্ধ হয়নি। কিন্তু মেঘালয় সরকারের তুঘলকি কাণ্ডে, উত্তর-পূর্বের দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন সংবাদপত্র শিলং টাইমসের তিন অসাংবাদিক কর্মী কোভিড পজ়িটিভ হওয়ায় গোটা সংবাদপত্র ভবনকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হল। বলা হল, তারা কোভিড প্রোটোকল ভঙ্গ করেছে। ফলে গত কাল থেকে সংবাদপত্রের কাজ বন্ধ। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে সংবাদপত্রের কর্মী আবাস ও দফতরের প্রবেশ পথ একটাই। দফতরে সামাজিক দূরত্ব, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নিয়ম মানা হচ্ছিল না।
গত বছর আদালতের রায়ের বিরোধিতা করায় সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদক মানস চৌধুরী ও প্যাট্রিসিয়া মুখিমকে জরিমানা করে হাইকোর্ট। সম্প্রতি বাঙালি যুবকদের মারধর করার প্রতিবাদে সরব হওয়ায় প্যাট্রিসিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে স্থানীয় দরবার স্নং বা গ্রামসভা।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানস চৌধুরী বলেন, “আমাদের দফতরে ৮৭ জন কর্মীর মধ্যে চার জন বাড়িতে। বাকি সকলকে কোভিড পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন অসাংবাদিক কর্মী পজ়িটিভ হন। আশ্চর্যজনক ভাবে এর পর জেলা পরিদর্শক অফিসের বাইরে দাঁড়িয়েই পরিদর্শন সেরে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিলেন আমরা নিয়ম মানছি না!”
মানসবাবু জানান, শিলং টাইমস ১০ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে জেনে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা তাঁকে ফোন করে বলেন কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কিন্তু গত রাতে জেলাশাসকের দফতর জানায়, নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে। তাঁর কথায়, “আমরা সম্ভবত দেশের একমাত্র সংবাদমাধ্যম যাদের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ব্যবহার করে কন্ঠরোধ করা হল। এটি আইনের অপব্যবহার। নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন ও সরকারের সমালোচনা করার ফলেই হয়তো এই শাস্তি!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy