Advertisement
E-Paper

পর্যটক নেই শিকারাগুলিতে, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

করোনা অতিমারির সময়ে লকডাউনের জেরে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির পরে এ বছরই যেন সব চেয়ে বেশি পর্যটক হচ্ছিল বলে মনেও করছিলেন তাঁরা।

ফাঁকা শিকারা।

ফাঁকা শিকারা। ছবি সংগৃহীত।

সাবির ইবন ইউসুফ

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৯
Share
Save

২৪ এপ্রিল: মাত্র দু’দিন আগেও ডাল হ্রদের শিকারাগুলিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আশায় ছিলেন স্থানীয়েরা। তবে পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার পরে পর্যটকরা যত দ্রুত সম্ভব ভূস্বর্গ থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। এর জেরে ডাল হ্রদ কার্যত পর্যটক শূন্য। ফলে এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে স্থানীয়দের। জঙ্গি হামলার প্রভাব যে এ বছরের অমরনাথ যাত্রার উপরেও পড়তে পারে, তা নিয়েও আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কাশ্মীরের ট্যুর অপারেটররা।

স্থানীয়েরা বরাবর জানিয়েছেন, পর্যটনই তাঁদের আয়ের মূল পথ। চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত লক্ষাধিক পর্যটক কাশ্মীরে আসায় তাই কিছুটা আশার আলো দেখছিলেন নানা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন, বিশেষ করে শিকারা মালিক-চালকরা। করোনা অতিমারির সময়ে লকডাউনের জেরে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির পরে এ বছরই যেন সব চেয়ে বেশি পর্যটক হচ্ছিল বলে মনেও করছিলেন তাঁরা। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার পরে সে আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কাশ্মীরে সর্বাত্মক বন্‌ধ পালন করা হয়েছে বুধবার। গত ৩৫ বছরের মধ্যে যা এই প্রথম। নানা এলাকায় মসজিদের স্পিকারে বার বার ঘোষণা করা হয়েছে, স্থানীয়েরা দোকান বন্ধ রেখে যেন প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন। জঙ্গি হামলার এমন ভয়াবহতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিলও হয়েছেন তাঁরা। মহাম্মদ হাকু নামে এক শিকারা মালিক যেমন বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বোঝা উচিত এই
শান্তির আবহ কারা নষ্ট করছে। এই দোষীদের সকলের সামনে আনা উচিত।’ তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা, যদি এমন ভাবেই পর্যটক শূন্য হয়ে থাকে ভূস্বর্গ, তা হলে স্থানীয়দের রুজি-রুটি জোগাড় হবে
কী করে!

ব্যবসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে শ্রীনগরের হস্তশিল্প বিপণীও। মঙ্গলবারের পর থেকেই শ্রীনগরের রেসিডেন্সি রোডের দোকানগুলির শাটার বন্ধ। নেটামাধ্যমে ওই দোকানগুলি থেকে যে ক্রেতারা জিনিসপত্র আনাতেন, তারাও এখন সেগুলি আনানোর দিন ক্রমশ পিছোচ্ছেন। বিক্রেতাদের আশঙ্কা, মঙ্গলবারের পর থেকে কাশ্মীরে তৈরি শিল্পসামগ্রীর চাহিদা হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে। এখনও যে দীর্ঘ সময় ধরে এই সঙ্কট চলবে, তা-ও চিন্তা বাড়াচ্ছে বিক্রেতাদের। তবে তাঁদের এ-ও বিশ্বাস, একটা সময়ের পরে ব্যবসার মূল স্রোতে আবার ফিরতে পারবেন তাঁরা।

এরই মধ্যে, পহলগামের বৈসরনের ঘটনার পর পর্যটকদের অনেকে কাশ্মীর ছেড়ে জম্মুতে ফিরেছেন। যাঁরা জম্মু থেকে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁদের অনেকে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দ্রুত ফেরার চেষ্টা করছেন। এর ফলে জম্মুতে আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে জম্মু এবং কাটরায় বিশেষ হেল্প ডেস্ক চালু করেছে রেল। জম্মু এবং কাটরা স্টেশন থেকে বিভিন্ন ট্রেনে কমপক্ষে আড়াইশোর মতো পর্যটকের ওঠার ব্যবস্থা করেছে উত্তর রেল। কাটরা থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন চালিয়ে দেড় হাজারের বেশি পর্যটককে নয়াদিল্লি স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pahalgam

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}